সেন্সর বোর্ড ঘেরাওয়ে ধাক্কাধাক্কি, লাঞ্ছিত মধুমিতা হলের মালিক
চলচ্চিত্রের ১৬টি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফের সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করেছেন। বুধবার সাড়ে ১২টায় যৌথ প্রযোজনার নামে ‘যৌথ প্রতারণা’ ঠেকাতে এফডিসি থেকে সেন্সর বোর্ডে মিছিল নিয়ে যান তারা। এতে ধাক্কাধাক্কি, হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
ঘেরাও কর্মসূচিতে মিশা সওদাগর, রিয়াজ, সাইমন, বদিউল আলম খোকন, তানিন, প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরুকে দেখা গেছে। এ সময় তারা ‘চলচ্চিত্রের দালালরা হুশিয়ার সাবধান’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, সেন্সর বোর্ড ঘেরাও হবে’, ‘যৌথ প্রতারণা চলবে না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
দুপুর ১টার দিকে সেন্সর বোর্ড ঘেরাওকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ও মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
সেন্সর বোর্ডের সামনে আগে থেকেই ছিলেন যৌথ প্রযোজনার ‘বস টু’ ও ‘নবাব’এর পক্ষ নেয়া নওশাদ। চলচ্চিত্র রক্ষা আন্দোলনের কয়েক কর্মী তাকে সামনে পেয়ে তার ওপর আক্রমণ করেন। ওই সময় নওশাদের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সেন্সর বোর্ড অফিসে নিয়ে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন।
ওই সময় তিনি বলেছিলেন, আমরা তথ্যমন্ত্রীকে লিখিত চিঠিতে দেখিয়েছি কিভাবে ছবি দু'টি নীতিমালা ভেঙেছে। তারা নীতিমালার ৬ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে। 'বস টু' ও 'নবাব' ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় ছবি হিসেবে নিবন্ধিত, আপনারা কাগজপত্র দেখলে বুঝতে পারবেন।
এর আগে 'বস টু' ও 'নবাব' যৌথ প্রযোজনার নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি এমন অভিযোগ এনে ১৮ জুন সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করেছিল চলচ্চিত্রের এই ১৬ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
এইচএম/এসজে
মন্তব্য করুন