মোশাররফ করিমের হালচাল
মোশাররফ করিম। ছোট পর্দার এক দাপুটে অভিনেতা। শুধু ছোট পর্দা না চলচ্চিত্রেও নিজের অভিনয় প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন তিনি। প্রতিনিয়তই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন ক্যামেরার সামনে।
পটেকমার, হিজড়া, শহুরে বাটপার, ব্যাচেলর, কর্পোরেট দুনিয়ার ভদ্র চাকরিজীবী, হুমায়ূন আহমেদের হিমু, ব্যবসায়ী, পুরান ঢাকার গোল্লায় যাওয়া ছেলে, সিকান্দার বক্স, মহল্লার বড় ভাই এবং আদর্শ প্রেমিক, ঝালখোর, ঘুষখোর, পানখোর এমন অনেক চরিত্রে রুপদানের মাধ্যমে দর্শকদের মনে আসন গড়ে নিয়েছেন মোশাররফ।
বাংলা নাটকের ইতিহাসে তার মতো জনপ্রিয় খুব কম অভিনেতাই হয়েছেন। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের উচ্চ বিত্তশালীদের ফ্ল্যাটের হোম থিয়েটারেও বিনোদন খোঁজা হয় এ তারকা অভিনীত নাটকে।
মোশাররফ করিম অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র জয়যাত্রা। এরপর রূপকথার গল্প, দারুচিনি দ্বীপ, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, প্রজাপতি, টেলিভিশন, জালালের গল্প, অজ্ঞাতনামা ছবিগুলোতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।
গেলো কয়েক বছর ধরে ঈদে সবচে' বেশি নাটকের অভিনেতাও তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় সাত দিনই থাকবে এ তারকার বিশেষ ধারাবাহিক ও সিক্যুয়াল নাটক। এ সিক্যুয়াল ও সাতপর্বের ধারাবাহিক নিয়ে এরই মধ্যে ডজন খানেক নাটকে অভিনয় শেষ করেছেন।
সেই তালিকায় রয়েছে সাগর জাহানের মাহিনের নীল তোয়ালে, অ্যাভারেজ আসলাম ইজ নট ব্যাচেলর ও লাইফ ইজ কালারফুল, আজাদ কালামের জমজ ৭, শামীম জামানের মেজাজ ফোরটি নাইন টু ও বডিগার্ড হোসেন।
আরো রয়েছে আসাদুজ্জামান সোহাগের রচনা ও রিপন মিয়ার পরিচালনায় থার্ড পারসন, আর বি প্রীতমের রচনায় ও পরিচালনায় ম্যানপাওয়ার, ইমরাউল রাফাতের পরিচালনায় বেঙ্গল সমিতি (৭ খণ্ডের নাটক) এবং কায়সার আহমেদের রুপালি প্রান্তর। এবারের ঈদে ৩০ টির বেশি নাটক প্রচার হবার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
এত কাজের ভিড়ে দম ফেলার ফুসরত নেই এ অভিনেতার।
কাজের চাপ প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, কাজকে আমি কখনো চাপ মনে করি না। এটাকে আনন্দ ভাবি। আনন্দ পাই বলেই এত কাজ করতে পারছি।
এইচএম
মন্তব্য করুন