• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

'আমি এখনো প্রেমিক'

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:৫৪

তিরিশ বছর ধরে টালিউডে সেরার আসন দখলে তার। ইন্ডাস্ট্রির কথা ভেবে বলিউডের সাজান, মেনি পেয়ার কিয়ারসহ অসংখ্য সিনেমার অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা সিনেমার চিরসবুজ তারকা।

আর সবার চেয়ে একেবারেই আলাদা প্রসেনজিৎ।প্রেম, বিয়ের ব্যাপারে কোনো কিছুই গোপন রাখেননি। তিনি বলেন, মা যতদিন বেঁচে ছিলেন তার কাছে, ঠাকুরের সামনে, আর আমার দর্শকদের কখনো মিথ্যা বলিনি।

ওমর সঙ্গী খ্যাত নায়ক বলেন, আমার প্রেমের বিষয়ে সবাই জানেন। আসলে মানুষ ছোটবেলায় যে বয়সে প্রেম করে তখন প্রেম করার সুযোগ হয়নি। এরপর যাদের সঙ্গে প্রেম করেছি কিংবা তিনটে বিয়ের কথা সবারই জানা। এসব কখনো লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করিনি। আমি এখনো প্রেমিক।

এখনো নাকি প্রচুর প্রেমের অফার আসে ভক্তদের কাছে থেকে। এমনকি হালের নায়িকারাও এ নায়কের প্রেমে পড়তে কার্পন করেন না। তবে সেসব তিনি সামলে নেন ভালোভাবেই। সকাল থেকে রাত সিনেমা ছাড়া অন্য কিছুই ভাবেন না প্রসেনজিৎ।

স্ত্রী অর্পিতাও নাকি বলেন যে তার মতো রোমান্টিক হিরোর ১০-১২ টা প্রেম না করলে কি চলে!

গেলো পহেলা বৈশাখে প্রসেনজিৎ অভিনীত 'ওয়ান' ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। একজন মানুষের 'ওয়ান' হবার গল্প নিয়েই ছবির গল্প। অনেকেই বলছেন প্রসেনজিৎ এর গল্প নিয়েই ছবিটি তৈরি হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রসেনজিৎ বলেন, 'প্রতিটি মানুষই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরা হতে চান। এক নম্বর হতে চান। এ ছবির গল্প প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জীবনের গল্পের সঙ্গে কোনো মিল নেই'।

একজন মানুষের যখন খেলে বেড়াবার বয়স। ঠিক সেই বয়সে প্রসেনজিৎকে মা ও বোনের মুখে খাবার তুলে দেয়ার সংগ্রামে নামতে হয়েছিলো। জীবনে কি হবেন ভেবে দেখারও সময় পাননি।

থিয়েটার করে ৩০০-৩৫০ টাকা পেতেন তা দিয়েই চলতে হতো। একটা সময় ভেবেছিলেন পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন। কিন্তু তার রক্তে মিশে ছিল অভিনয়। সিদ্ধান্ত বদলে অভিনেতা হবেন বলে ঠিক করলেন। তারপরের গল্প সবারই জানা।

অভিনয়ের ক্ষুধাই তাকে আজকের প্রসেনজিৎ তৈরি করেছে। অর্পিতাও ও ১২ বছর বয়সী ছেলেকে ঠিক মতো সময় দিতে পারেন না। তবে অর্পিতা এসব মেনে নিয়েছেন। নায়কের ভাষ্য, 'দেখুন আমি যদি সিনেমা বাদ দিয়ে অন্যসব নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম তাহলে ভিন্ন কথা। ওতো দেখছে এই মানুষটা সিনেমা পাগল। সিনেমা ছাড়া অন্য কিছুই ভাবে না। তাই সবকিছু সয়ে নিয়েছে। আমি তো কখনো দাবী করিনি আমি ভালো স্বামী, ভালো বাবা। তবে হ্যাঁ সন্তানের ১ বছর থেকে এখন পর্যন্ত সব পোশাক আমি নিজেই কিনে দেই। অর্পিতা বলে এই কাজটা নাকি আমি সবচে ভালো পারি'।

দেবশ্রী রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার প্রথম প্রেম, প্রথম বিয়ে। তাকে এখনো সম্মান করি। দারুণ একজন অভিনেত্রী'।

প্রসেনজিৎ এখন নিজেকে তৈরি করছেন 'কাকাবাবু' ছবির জন্য। তার সব ধ্যানজ্ঞান এ ছবিকে ঘিরেই।

এতো বড় অভিনেতা হয়েও কোনো তাপ উত্তাপ নেই তার। কারণ একটাই একটা সিনেমার পেছনে ৩০০ মানুষ কাজ করে। নিজেকে ওই ৩০০ মানুষের একজন বলে মনে করেন প্রসেনজিৎ। ওই লোকগুলো ছাড়া তিনি কিছুই নন। তাকে পর্দায় দেখা যায় বলে মানুষ এতোটা ভালোবাসেন। ওই ৩০০ বা ইন্ডাস্ট্রির ৩০০০ মানুষের কথা ভেবেই বলিউডে পাড়ি জমাননি বলে জানান তিনি।

একজন অভিনেতা হিসেবেই তাকে সবাই চেনেন। তিনি বলেন, ভারতবর্ষে সিনেমার সঙ্গে জড়িত এমন কোনো মানুষ নেই যে আমাকে চেনেন না। এখনো বলিউড থেকে আমাকে একজন অভিনেতা হিসেবেই ডাকা হয়। বাংলা সিনেমায় কাজ করে এটাই আমার সবচে' বড় সাফল্য।

দীর্ঘ ক্যারিয়ার অনেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিলো এই বুঝি শেষ। তবে সেসব নিজে মোটেই চিন্তিত নন 'বাইশে শ্রাবণ' খ্যাত অভিনেতা। তার কাছে ক্যারিয়ারটা ভোটের বাক্সের মতো। দর্শক যতদিন টিকিট কেটে তাকে দেখবেন, ভালোবাসবে ততদিনই টিকে থাকবেন।

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh