• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সেন্সরে আটকে গেলো সার্বিয়ান মডেলের 'হৃদয়ের রংধনু'

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ মার্চ ২০১৭, ১৩:১১

দেশের প্রথম অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা 'হৃদয়ের রংধনু' যার ইংরেজি ট্যাগ লাইফ ইন রেইনবো। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সার্বিয়ান মডেল মিনা পেটকোভিচ। এটাই তার প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয়। একঝাঁক তরুণ-তরুণীর গল্প নিয়ে ছবিটি তৈরি করছেন রাজীবুল হোসেন।

বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করতে পেরে আনন্দিত মিনা পেটকোভিচ। এধরনের ভিন্নধর্মী গল্পে তিনি আরো কাজ করতে চান জানিয়েছেন।

কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে আলোচিত সেই ছবি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। পরিচালক নিজের অর্থায়নে তৈরি করেন সিনেমাটি। তার ইচ্ছে ছিলো যে কোনো উৎসবকে ঘিরে মুক্তি দেবেন 'হৃদয়ের রংধনু'। সেই লক্ষে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেন তিনি। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ছবির সেন্সর সনদ মেলেনি।

সরকার ছবিটির সেন্সর ফি মওকুফ করেছে। নির্মাতা বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন আমার সিনেমার ৮০ ভাগ কাজ দেখার পর ট্যুরিজম পার্টনার হয়েছে।

সিনেমায় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ক্ষতি হবে এমন কোনো বিষয় নেই। সেন্সর বোর্ড ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে আকুল আবেদন দ্রুত ছবিটির সেন্সর ছাড়পত্র দেয়া হোক।

তবে সেন্সর বোর্ডের সচিব মুন্সী জালাল উদ্দিন বলেছেন ভিন্ন কথা।

তার ভাষ্য, সিনেমার কাহিনী বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনকে ঘিরে। সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা এটি দেখেছেন। অথচ কাহিনিতে বাংলাদেশের পর্যটনকে প্রমোট করার পরিবর্তে ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে সিনেমাতে। সেজন্য ছাড়পত্র দেয়ার আগে আমরা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তারা সিনেমাটি দেখেছেন। এখনো তাদের পক্ষ থেকে কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে পর্যটন কর্পোরেশনের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিহা ফেরদৌসি জানিয়েছেন, তাদের কমিটি সিনেমা দেখেছে। কিছুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত সেন্সর বোর্ডকে চিঠি মারফত জানিয়ে দেয়া হবে।

মিনা ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন মুহতাসিন সজন, শামস কাদির, খিং সাই মং মারমাসহ অনেকে।

এর আগে পরিচালক রাজীবুল হোসেন ২০০৬ সালে 'বালুঘড়ি' নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। যা দেশের প্রথম ডিজিটাল ফরমেটে নির্মিত চলচ্চিত্র।

এইচএম/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh