• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শেষ নবাবের বংশধর 'প্রেসিডেন্ট সেরাজুদ্দৌলা'

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১০ মার্চ ২০১৭, ১৫:৫০

তারিক আহমেদ পুরান ঢাকার বাসিন্দা। নিজেকে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বংশধর দাবি করে নামের পাশে 'দৌলা' টাইটেল লাগিয়েছেন। তার স্ত্রী তাঞ্জানিয়া, বরিশালের মেয়ে। স্ত্রীর কথায় বরিশালের টান আছে। এটা নিয়ে স্বামী তারিক-উদ-দৌলার ক্ষোভ। প্রতি রাতে ঝগড়া লাগে। শেষ নবাবের বংশধরের বিবিকে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে। বরিশালের টানে কথা বলা চলবে না। তাই বিবিকে শুদ্ধ ভাষা শেখানো হয়।

এমনই এক কাহিনি নিয়ে আরটিভিতে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক 'প্রেসিডেন্ট সেরাজুদ্দৌলা'। হুমায়ূন সাধু'র রচনা ও রায়হান খানের পরিচালনায় গেলো ৩ মার্চ থেকে প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রবিবার রাত ৮ টা ১০ মিনিটে নাটকটি দেখানো হচ্ছে আরটিভিতে। অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, তারিক আনাম খান, আ খ ম হাসান, আরফান, মুনিরা মিঠু, রুনা খান, নোভা।

নাটকে এও দেখা যায়, যদিও তারিক-উদ-দৌলা নিজে বলে ঢাকাইয়া ভাষায়। তিনি মনে করেন এটা অভিজাত ভাষা এবং এটাই নবাবের ভাষা ছিলো! তারা নিঃসন্তান। তারিক-উদ-দৌলার শালী অর্থাৎ তাঞ্জানিয়ার বোন নিমকি তাদের সঙ্গেই থাকেন। ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। সে ব্যাপক ভাব নিয়ে চলে। নবাবভাবধারি তারিককে দুই পয়সা পাত্তা দেয় না। তারিকের কর্মচারির নাম বাচ্চু। নাম বদলে গোলাম হোসেন রাখা হয়।

তারিক দৌলা প্রায় বাসায় বিচার-সালিশ বসায়। যখন তিনি মহলে প্রবেশ করেন তখন 'বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার অধিপতি' এ স্টাইলে গোলাম হোসেন ডাকে 'চানখারপুল-বংশাল-গেন্ডারিয়ার অধিপতি হুজুরে আলা মসনদে তশরিফ রাখছেন'। দু' পাশে লোক জমায়েত থাকে। তারপর তিনি মসনদে বসার মত সোফায় বসে ওর বিচারকার্য চালান, টাকা-পয়সা দেন। তারিকের নবাবীচালে গান-বাজনার শখ আছে। বাসায়, ছাদে, ড্রয়িংরুমে জলসা বসান নিয়মিত। উস্তাদ্, বাঈজি, বাউল লোকজন এসে গান করে। গান শুনে মুগ্ধ হয়ে গলা থেকে খুলে মুক্তার মালা ছুঁড়ে দেন তিনি।

এই মুক্তা আবার গোলাম হোসেন ভাঙ্গারি থেকে লট ধরে পুতি কিনে এনে মালা করে রাখে। এদিকে শামীম থাইল্যান্ডে থাকে। হতভাগা ছন্নছাড়া বাঙ্গালী যুবক। থাইল্যান্ডে কিছু করতে পারে নাই। ট্যুরিস্ট এলে সে তাকে গাড়ি করে দিয়ে ওখান থেকে টাকা মারে, দামি মোটেলে তুলে দিয়ে টাকা বাড়িয়ে ওখান থেকে টুপাইস কামায়। এভাবে ভাওতাবাজি দিয়ে চলে।

এভাবে জীবন চলেনা অন্যকিছু, বড় কোনো দানের চিন্তা নিয়ে শামীম দেশে আসে। পুরান ঢাকায় তার বোন থাকে, সেখানে ওঠে। কড়া পারফিউম লাগিয়ে, রংচঙ্গে স্যুট-বুটেড ঘুরে বেড়ায়। তার ধান্ধা হচ্ছে ওখানে কিছু করতে পারে নাই, ওখানকার কথা বলে এখানে ধনীর কোনো মেয়েকে বিয়ে করে সম্পত্তি পাওয়া বা যৌতুক নিয়ে তার লাইফ করে ফেলা। দেশে প্রকাশ করে, সে বিদেশে একটা রেস্টুরেন্টের পার্টনারশিপে আছে। একদিন শামীম দেখতে পায় রাস্তায় ঘোড়ার গাড়ির বহর সামনে বাইক এস্কর্ট দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঘোড়ার গাড়িতে বসা তারিক-উদ-দৌলা হাত উঁচিয়ে লোকজনের সালাম-সম্ভাষণ-শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এটা দেখে শামীমের মাথা ঘুরে যায়। খবর নিয়ে জানতে পারে ইনি এখানকার নবাব মানে দাবি করেন মানুষের সুখ-দুঃখ দেখেন। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বংশধর। শামীম চিন্তা করে আসল জিনিস পেয়ে গেছে, একেই দরকার। শুরু হয় নানান কান্ড।

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh