• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইরফান-নাবিলার 'নিউটনের আপেল'

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ মার্চ ২০১৭, ১২:৪৪

আরটিভি মানডে নাইট সুপার ড্রামা'র এ সপ্তাহের আয়োজনে থাকছে নাটক 'নিউটনের আপেল'। মনজুরুল হাসান মিলনের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটি সোমবার (৬ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটে আরটিভিতে দেখানো হবে। অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, এলেন শুভ্র, নাবিলা ইসলাম, মাকসুদ ভূইয়া, তাবাসসুম মিথিলা।

গল্পে দেখা যাবে, ফেসবুকে পরিচয়। হোয়াটস এপে বন্ধুত্ব আর ভাইবারে পরিণয়। খুব অল্প সময়ের মাঝেই তারা দেখা কারার সিদ্ধান্ত নেন। রামিম সেই মত খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে। বলা যায় সারাটা রাতই তার ঘুমই হয়নি।

অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই সকালে রামিম ছুটতে শুরু করে। প্রথমেই যে বন্ধুর কাছে বাইক নেবার কথা ছিলো সে কথা রাখে না। অবশেষে অন্য বন্ধুর কাছ থেকে একটা ভাঙ্গাচুরা বাইক ম্যানেজ করেন। বাইক ছাড়া যেতেও পারছে না কারন ইশালর কাছে অনেক আগেই বলেছে তার একটা বাইক আছে।

সেই বিখ্যাত বাইক নিয়েই শুরু হয় প্রথম বিপত্তি। রাস্তার মাঝ পথেই বন্ধুর কাছে ধার করা বাইকটা বেকে বসে। ওদিকে ইশালর কল মোবাইলে আসতেই থাকে।

বাইক নিয়ে গ্যারেজে ... বাইক তো ঠিক হয়ই না উল্টা প্যান্টে কালি মেখে যায় এবার দৌড় দোকানে। নতুন প্যান্ট পরে বের হতে যাবে এমন সময় দোকানের সিড়ি দিয়ে নামতেই ধুপ করে পড়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে শার্ট ছিড়ে লোমশ বুক বেরিয়ে যায়। পকেটে আর কটা টাকা আছে... কি করবে ফিরে যাবে এমন চিন্তা করতেই ইশালর কল। রামিম বলে আর অল্প সময়।

তিন ঘন্টা পরে এসে পৌছে ইশালকে কল করতেই, ইশাল জানায় এতো দেরিতে এসেছো এখন অপেক্ষা করো আমি আসছি, একটু ক্যাম্পাসের বাইরে আমি। কি করবে ইশালর ক্যাম্পাসে অসহায়ের মতো বসে আছে।

কিন্তু রামিম বুঝতে পারে এটা ইশাল রাগ করে বলেছে। ইশাল হয়তো ক্যাম্পাসেই থেকে তার সঙ্গে মজা করছে। ভাবনা একদম ঠিক... অসহায়ত্ব নিয়ে বেশি সময় থাকতে হয় না তার। হঠাৎ ইশালকে আসতে দেখে লাফ দিয়ে উঠে। কাছে গিয়েই চমকে দেবার মতোই বলে হ্যালো। ইশাল চমকায় ঠিকই, কিন্তু! রামিমকে যেনো চিনতেই পারে না। নিজের পরিচয় দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেতেই ইশাল বুঝেও না বোঝার মতোই কথা বলে।

ইশালের এমন আচরণে খুবই বিরক্ত রামিম। এত কষ্ট করে এখানে এসে এমন ব্যবহারে বেশ রেগেই উঠে। ইশাল যেনো রাগ আরে বাড়িয়ে দেয়, হঠাৎ করেই তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে। রামিমের মাথায় কিছুই ঢুকতে চায় না। আগুন ধরে যায় মাথায় ঠিক তার বাইকের সাইলেন্সারের মতো গরম হয়ে উঠে নিজেই।

ধীরে ধীরে আর ভদ্রতা ধরে রাখতে পারে না, রাগে কাপতে শুরু করেন। এক সময় রামিমের মনে হয় তাকে নিয়ে এতদিন খেলা করছে ইশাল। আর এই খেলা সহ্য করতে না পেরে রাগে ফুসতে ফুসতে বের হয়ে আসে ক্যাম্পাস থেকে আর তখনই পেছন থেকে আবার ইশাল ডেকে উঠে।

এবার রামিম আর দাড়ায় না। বাইকে উঠে স্টার্ট দেয়। ইশালই দৌড়ে সামনে এসে জানতে চায়...কি হলো দেরী করে এসে আবার নিজেই রাগ দেখাচ্ছো। এমন হয়েছে যে এভাবে চলে যাচ্ছো। রামিম রাগে ভাসাই হারিয়ে ফেলে। তুমুল এক ঝগড়া শুরু হয়.. কেউ যখন কিছুই বোঝাতে বা বুঝতে পারে না ঠিক তখন হঠাৎ করেই রামিম বেশ শান্ত হয়ে যায় যখন ইশালর মতোই আরেকজন হাসতে হাসতে এগিয়ে আসে সঙ্গে সেই আগের বয়ফ্রেন্ড। রামিমের চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। অবশেষে টুইন বোন দাঁড়িয়ে হাসে আর রামিম হা করে তাকিয়ে থাকে।

এইচএম/এপি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh