• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

চোখের জলের আবেগ, আটকে গেল কাঁটাতারে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ এপ্রিল ২০১৭, ১২:১৭

পহেলা বৈশাখে পঞ্চগড়ের অমরখানা সীমান্তে কাঁটাতারের দু’ পাশে দাঁড়িয়ে মনের ভাব প্রকাশ করলেন দু’ বাংলার কয়েক হাজার মানুষ। তবে চির চেনা আপনজনকে কাছে পেয়েও একটু ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। আবেগ অনুভুতি সবই প্রকাশ করতে হয়েছে দু’ চোখে। তাদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কাঁটাতারের বেড়া।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার অমরখানা বিওপির অমরখানা সীমান্তে ৭৪৩, ৭৪৪ ও ৭৪৫ নাম্বার আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের মাঝে হয় দু’ বাংলার মানুষের অনানুষ্ঠানিক মিলনমেলা।

এ সময় অনেকেই স্বজনদের মাঝে কাঁটাতারের ওপর দিয়ে বিস্কুট, চানাচুর, কোমল পানীয়, ইলিশ মাছ ও নতুন জামা কাপড় ছুড়ে দিয়ে আদান প্রদান করেন। অনেক স্বজন আবেগে আপ্লুত হয়ে ওঠেন। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে এ কান্না বিরহের নয়, অন্যরকম মধুর মিলনের।

সীমান্ত এলাকার লোকজন জানান, এদিন ভোর থেকে দু’ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন এসে জড়ো হন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ করে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা দু’ দেশের লোকজন একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন। স্বজনদের মিলনে আর দু’ দেশের অগণিত মানুষের উপস্থিতিতে এখানে এক বিরল দৃশ্যের অবতারণা হয়। যেন এ দিনের অপেক্ষায় সবাই উন্মুখ ছিলেন। বাংলা বছরের প্রথম দিন এ দেশের মানুষ ওপার বাংলায় থাকা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেন। যারা অর্থাভাবে পাসপোর্ট, ভিসা করতে পারেন না, তারা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেন।

পঞ্চগড়ের আবদুল লতিফ জানান ভারতের শিলিগুড়িতে তার আত্মীয় স্বজন থাকেন। তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। বললেন, প্রতিবছর বাংলা নববর্ষে ওপার বাংলায় থাকা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি ও তাদের খোঁজখবর নিই। পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল হাকিম মোহাম্মদ নওশাদ বলেন, প্রতিবছর পয়লা বৈশাখে অনুমতিক্রমে এই মিলনমেলা হয়। ভারতের ১৫৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করেই কাঁটাতারের পাশে দু’ দেশের নাগরিকদের দেখা করার সুযোগ করে দেয়া হয়।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • এডিটর'স চয়েস এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh