• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ধর্ম সম্পর্কে ইমামদের সঠিক বয়ানের অনুরোধ হাইকোর্টের

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৫১

জুমার খুতবায় ধর্ম সম্পর্কে ইমামদের সঠিক বয়ান দেয়ার অনুরোধ করলেন হাইকোর্ট।

রোববার ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যার আপিলের রায় ঘোষণার সময় আদালত এ অনুরোধ করেন।

এছাড়া মামলার পর্যবেক্ষণে সন্তানদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পথ থেকে বিরত রাখতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন আদালত।

এদিন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট এ রাজীব হত্যার আপিলের রায় ঘোষণা করেন।

আদালত বলেন, ইমামদের কাজ মুসল্লিদের নামাজ পড়ানো এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়া। তিনি এমন কোনো বয়ান দিতে পারেন না যা দেশের সংবিধান ও আইনের পরপন্থী। যদি কেউ ইসলাম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে বিরূপ বক্তব্য দেন অথবা ফেসবুকে পোস্ট করেন তবে তার বিচার প্রচলিত আইনে হবে।

আদালত বলেন, আমাদের দেশে শরিয়া আইনের বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত আছে। মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে হবে; যাতে কেউ বিপথগামী না হয়।

মামলার পর্যবেক্ষণে আদালত আরো বলেন, রাজিব হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মুফতি জসিম উদ্দিন ছাড়া বাকি সবাই মেধাবী শিক্ষার্থী। তারা কেনো এ পথে গেলো? তা আমরা খুঁজে পাইনি। তবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিপদে যাবার জন্য অভিভাবকরাই দায়ী। প্রত্যেক আসামির অভিভাবকরা উচ্চ শিক্ষিত ও প্রভাবশালী।

আদালত বলেন, আমরা নিজেদের জীবনমান কীভাবে উন্নত করা যায় সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আমাদের সন্তানদের মানসিক অবস্থার কথা, তারা কী চায়, কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চায় সেগুলো না জেনেই যেকোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেই। এটি সন্তানদের মধ্যে পরিবারের প্রতি অনীহা তৈরি করছে।

সন্তানদের সঠিক পথে রাখতে অভিভাবকদের পরেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। দেশের সবাইকে সরকারের পাশাপাশি শিশুশিক্ষা বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। আমাদের পরিবেশ, রাজনীতি, ধর্মীয় আচার, ব্যবহার এবং স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে শিশুকে জানাতে হবে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, জসীমউদ্দিন রাহমানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে দুটি মসজিদে জুমার খুতবায় ধর্মের বিরুদ্ধে লেখে -এমন ব্লগারদের হত্যার ফতোয়া দিতেন। অন্য আসামিরা সবাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং তারা ওই খুতবা শুনতেন। এভাবে তাদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি হয়। জসীমউদ্দিনের লেখা বই পড়ে এবং সরাসরি তার বয়ান ও খুতবা শুনে বাকি আসামিরা ‘নাস্তিক ব্লগারদের’ খুন করতে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ব্লগার রাজীব খুন হন। রাহমানকে ওই হত্যাকাণ্ডে উৎসাহদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এইচটি/ এএইচসি/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • এডিটর'স চয়েস এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh