• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

বাণিজ্যমেলার পর্দা নামছে শনিবার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৮:৫৯

নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৪ দিন বেশি সময়ও ফুরালো বাণিজ্যমেলার। ফলে আজ পর্দা নামছে ৩৪ দিন ধরে চলা ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে মেলাটি আয়োজন করে আসছে।

বাড়তি চারদিনের মধ্যে ২দিন’ই ছিল ছুটির দিন। তাই ব্যবসায়ীদের বেশ হাসিমুখ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অপরদিকে ক্রেতারাও বেশ খুশি। মেলার শেষের দিনগুলোতে অসম প্রতিযোগিতা করে ব্যবসায়ীরা। তার সাথে তাল মিলিয়ে ক্রেতারাও পণ্য কিনেছে খেয়াল খুশিমত। ছোট খাট কয়েকটি অভিযোগ ছাড়া তেমন বড় ধরনের কোন ঘটনা না হওয়ায় খুশি আয়োজকরা।

এবার মেলায় ২১টি দেশ অংশ নেয়। গেলো মেলার চেয়ে এবারের মেলায় ৭টি স্টল বেশি ছিল। এবার সব ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, সাধারণ স্টল, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নসহ ৫৬০টি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নেয়। যা ২০১৬ সালে ছিল ৫৩৬টি।

মেলায় স্টল বরাদ্দ পেতে মোট আবেদন পড়েছে ১ হাজার ২৭টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সাধারণ স্টলের জন্য। সাধারণ স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যান দেয়া হয়েছে ২৫৩টি। কিন্তু এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭১৭টি। অথচ গেলো বছর সাধারণ স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যান ছিল ২৮৭টি, আর চূড়ান্ত বরাদ্দ দেয়া হয় ২৮৬টি। ফুড স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যানে মোট স্টল রাখা হয়েছে ২৪টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭৫টি।

সাধারণত মেলায় ১৩টি ক্যাটাগরি থাকে। এর মধ্যে রয়েছে- সাধারণ প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, বিদেশি প্যাভিলিয়ন, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ, প্রিমিয়ার স্টল, বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল, সাধারণ স্টল ও ফুড স্টল প্রভৃতি।

মেলায় প্রতিবন্ধীদের প্রবেশের জন্য আলাদা ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া ফোয়ারা, ওয়েব পেজ-ই-শপ, এটিএম বুথ, ই-পার্ক, মা ও শিশুকেন্দ্র এবং অস্থায়ী শিশুপার্ক, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ভ্যাট আদায় করতে অস্থায়ী শুল্ক অফিস, মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র, ইকোপার্ক এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি টিম ।পাশাপাশি অগ্নিরোধে বেশ কয়েকটি ফায়ার সার্ভিস টিম সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিল।

সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি করা হয়। মেলায় পর্যাপ্ত আনসার, পুলিশ, মহিলা পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিয়োজিত ছিল। মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে ১শ’টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।

এমসি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh