• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাণিজ্য মেলায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’

মিথুন চৌধুরী

  ০৮ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:০৪

প্রতিবছরের ন্যায় এবারো বাণিজ্যমেলায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি প্যাভিলিয়ন। যার নাম রাখা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’। প্যাভিলিয়নের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। নজর কাড়া এ ভাস্কর্য দেখতেই দর্শনার্থীরা ছুটে চলছেন প্যাভিলিয়নে। কেউ ফটো তুলে নিচ্ছেন ভাস্কর্যের সঙ্গে।

মেলায় আগত ক্রেতা ও দর্শকরা কেনাকাটার পাশাপাশি কিছুক্ষণের জন্য হলেও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি দিয়ে সাজানো এ প্যাভিলিয়নে আসেন।

একে একে ঘুরে দেখছেন প্রদর্শিত বঙ্গবন্ধুর ছবি। এতে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন স্মৃতি প্রকাশ পেয়েছে।

দর্শনার্থীর একটি বড় অংশ শিক্ষার্থী ও বয়স্করা। অনেকে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে সংরক্ষণ করছেন। কেউবা তুলছেন সেলফি। কেউ পড়ছেন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কিংবা চিঠি। আবার কেউ খুব আগ্রহ নিয়ে ভিডিও চিত্র দেখছেন। প্যাভিলিয়নের প্রতিটি দেয়ালে ফুটে ওঠেছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক।

ঢাকা সিটি কলেজ থেকে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ও স্বাধীনদেশ উপহারের মূল নায়ক বঙ্গবন্ধু। জাতির জনকের ছবি দেখে দেশ প্রেমের অনুপ্রেরণা নিয়ে জীবনকে রাঙাতে চাই।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিটি মেলা প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে স্টল থাকলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ভিডিও চিত্র দেখে মনে হচ্ছে তিনি সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস পাঠ দিচ্ছেন।

মোটা গ্লাসের চশমা পরা আনোয়ার হোসেন খুব খুটিয়ে খুটিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে প্যাভিলিয়নে ঘুরছেন। সঙ্গে হাত ধরে আছেন তার ছেলে মজিবুর হোসেন। কথা বলে জানা যায়, আনোয়ার গাইবান্ধায় থাকেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার ছেলে মজিবুর ঢাকায় থাকেন। ঢাকায় বেড়াতে এসেছেন কয়েকদিন আগে। ছেলে ঘুরাফেরার জন্য বাণিজ্য মেলায় নিয়ে এসেছেন। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে বাবাকে বঙ্গবন্ধুর প্যাভিলিয়নের কথা জানান মজিবুর। বঙ্গবন্ধুর কথা শুনে তিনি অন্য কোনো স্থানে না ঢুকে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে চলে আসেন।

বঙ্গবন্ধুর কথা গিয়ে বলতে আনোয়ার বলেন, ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা। বললেন একাত্তরের রাজাকারদের কুকর্মের কথা। যুদ্ধে হারানো সহযোদ্ধার কথা।

প্যাভিলিয়নের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ মোবারক জানান, মেলার শুরুর দিন থেকে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে মানুষের আনাগোনা। প্যাভিলিয়নে বয়স্ক ও শিক্ষার্থীরা বেশি আসছেন। অনেক বাবা-মা সন্তানকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিচয় করাতে আসেন।

প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনের কয়েক শতাধিক চিত্র রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বঙ্গবন্ধুর লেখা চিঠি, ভাষণ ও বাণী।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা চলবে আসছে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলা চলে প্রতিদিন সকাল ১০টা-রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশের টিকিটমূল্য বড়দের জন্য ২০ টাকা এবং ছোটদের ১০ টাকা। এছাড়া অনলাইনেও মেলে টিকিট।

এমসি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh