রাজধানীতে জমজমাট গো-খাদ্য ব্যবসা
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুধু পশু নয়, বিক্রির ধুম লেগেছে রাজধানীর গো-খাদ্য কেনার। রাজধানীর বিভিন্ন পশুরহাটসহ বাজারের আশেপাশেই গো-খাদ্য নিয়ে বসেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন পণ্যের হকার, রিকশা-ভ্যান, ঠেলাগাড়ি চালক গেল চার-পাঁচদিন আগে পেশা পরিবর্তন করে এখন গো-খাদ্য বিক্রেতা বনে গেছেন। কাঁচাঘাস, শুকনো খড়, খৈল-ভুষি থেকে শুরু করে কাঁঠালপাতা মিলছে এসব বাজারে। ইতোমধ্যে বেশ জমেও উঠেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শান্তিনগর, কমলাপুর, খিলগাঁও রেলগেট, বনশ্রী, আফতাব নগর, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
এসব বাজারে আঁটি প্রতি কাঁচাঘাস ২০-৪০ টাকা, শুকনো খড় ২০-৩০ টাকা , কাঁঠালপাতা-২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর ভুষি কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা, খৈল ৮০, তুষ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন :মঙ্গলবার পশু হাটের আশপাশে ব্যাংকের শাখা রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা
-------------------------------------------------------
খিলগাঁও রেলগেটের কাঁচাঘাস ও শুকনো খড় বিক্রেতা জামেলা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আগে পিঠা বিক্রি করতাম। গেল কয়েকদিন ধরে এ ব্যবসা শুরু করেছি। তবে আজ বেশ ভালই বিক্রি হচ্ছে। মূলত ব্যবসা হবে আজ ও আগামীকাল। কুরবানি হয়ে গেলে আবার পিঠা বিক্রি করমু।
রামপুরায় অপর খড় বিক্রেতা হাসু মিয়া বলেন, কয়েকজন রিকশাচালক মিলে ব্যবসা শুরু করছি। ময়মনসিংহ থেকে ১০ হাজার টাকার খড় এনেছি। গরু বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে আমাগো খড়ের দামও বৃদ্ধি পাবে। কমলাপুরের সুমন বলেন, অল্প পুঁজিতে লাভের ব্যবসা ভালই হচ্ছে। নবীনগর থেকে কাঁচাঘাস এনে বিক্রি করছি। লাভ ভালই হচ্ছে। গরুর পাশাপাশি ছাগলের খাদ্যেরও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। ফুটপাতের অনেক শিশু ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি কাঁঠালপাতা বিক্রি করছে।
আগামীকাল বুধবার জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা। এদিন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পশু কুরবানি করবেন।
আরও পড়ুন :
এমসি/এমকে
মন্তব্য করুন