সুইস ব্যাংকে কালো টাকার পাহাড় থামাতে পারলেন না মোদি!
গত এক বছরে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে কিছু কিছু দেশ থেকে টাকা কমলেও প্রায় অর্ধেক বাড়িয়েছে ভারতীয়রা। কালো টাকার কর্তাদের ধরতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরস্কারসহ একগুচ্ছ নীতি হাতে নিলেও তা হিতে বিপরীত হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবশেষ হিসাবে বলছে, ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকের ভারতীয়দের কালো টাকা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এই সময়ে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ৭ হাজার কোটি রুপি।
সম্প্রতি সুইস ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করেছে। আর এই তথ্যই কালোটাকা উদ্ধার নিয়ে মোদি সরকারের দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষায় ৬ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
--------------------------------------------------------
যদিও বাংলাদেশের নাগরিকদের সুইস ব্যাংকে টাকা রাখার পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। ২০১৭ সাল শেষে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। এর আগের বছর যা ছিল প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।
কালোটাকা উদ্ধারের জন্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সেই ঘটনার পর অনেক জলঘোলা হয়েছে। তর্ক বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। ভারতের এই সিদ্ধান্তে আদৌ কালো টাকা উদ্ধার হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
মোদি সরকার বার বারই দাবি করেছিল যে, নোট বাতিল ফলে প্রচুর কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা মোদি সরকারের জন্য খুব স্বস্তিদায়ক নয়।
কিন্তু সুইস ব্যাংকের এই তথ্যে কার্যত অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকে। ২০১১ ও ২০১৩ সালের পর এ নিয়ে তৃতীয় বার এমন ঘটনা ঘটল। ২০১১ সালে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১২ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৪৩ শতাংশ, সেখানে ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি।
আরও পড়ুন:
এসআর
মন্তব্য করুন