• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নারীকর্মীদের হয়রানি ও গণছাঁটাই: পাল্টা জবাব গ্রামীণফোনের

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৭ মে ২০১৮, ১০:৩৪

টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন নারীকর্মীদের হয়রানি শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (জিপিইইউ) প্রতিষ্ঠানটিতে হয়রানিসহ নারীদের গণ ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা জানানোর পর দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটরটিও পাল্টা জবাব দিয়েছে।

কোম্পানিটি বলছে, গ্রামীণফোন কোম্পানির ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আনা নারী কর্মীদের হয়রানি এবং গণ ছাঁটাইয়ের অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

জিপিইইউয়ের প্রচার সম্পাদক মো. রফিকুল কবির শুক্রবার এক অভিযোগপত্রে জানান, বাংলাদেশে সবচেয়ে নারীবান্ধব প্রতিষ্ঠান বলে দাবি করলেও নারীদের হয়রানি শুরু করেছে গ্রামীণফোন।

তার এই অভিযোগের খবর এরইমধ্যে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে অফিস সময়ের পরে ই-মেইল দিয়ে ১৩ জন নারী কর্মীকে ঢাকার বাইরে বদলির আদেশ জারি করে ঈদুল ফিতরের আগেই নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের আদেশ জারি করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।

ফলে অনেকেই যখন বাসায় পরিবারের জন্য ইফতার আয়োজনে ব্যস্ত, তখন সহকর্মীদের ফোন পান। দীর্ঘদিন কোম্পানির জন্য কাজের এই মূল্যায়নে নারী কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে দাবি করেছে জিপিইইউ।

জিপিইইউ বলছে, গ্রামীণফোনের কল সেন্টার ২০১৭ সালে দুটি কোম্পানির কাছে আউটসোর্স করা হয়। এর ফলে সেবার প্রাপ্তির মূল্য না কমলেও একদিকে যেমন গ্রাহকসেবার মান কমেছে, অপরদিকে অনেক কর্মী হয়েছে চাকরিহারা। কিন্তু যারা চাকরি ছেড়ে যায়নি, তাদের চাকরি ছাড়তে বাধ্য করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।

বিষয়টি অবগত হয়ে রাতে এক বিশেষ জরুরি সভায় গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (জিপিইইউ) মিলিত হয়। সভায় গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের এই ধরনের একতরফা সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

জিপিইইউয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নারী কর্মীদের প্রতি কোম্পানির এই সিদ্ধান্ত অসম্মানজনক।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আরটিভিতে ‘প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেট ভাবনা’
--------------------------------------------------------

জিপিইইউ নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, কোম্পানির এই সিদ্ধান্তকে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে, তাকে স্বেচ্ছা অবসরের নামে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হতে পারে।

কোম্পানিটি সামাজিক দায়বদ্ধতা বা কর্মীদের প্রকৃত উন্নয়নে কাজ না করে শুধু তার মুনাফার দিকে নজর দিচ্ছে এবং জিপিইইউ মনে করে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদে লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এরপর গ্রামীণফোন এক বার্তায় পাল্টা জবাব দেয়।

শনিবার গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, গ্রামীণফোন ১৭ জন নারীসহ তার ৪১ জন কর্মীকে নতুন কর্মসংস্থানের প্রস্তাব দিয়েছে। দুই বছর আগে আমাদের কল সেন্টারের কার্যক্রম একটি বিশেষজ্ঞ বিপিও অপারেটরের কাছে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়।

এই সময় ৪৮৮ জন নিয়মিত কর্মী কোম্পানিতে নতুন পদে যোগ দেন অথবা স্বেচ্ছা অবসর প্যাকেজ গ্রহণ করেন।

বাকি ৯৮ জনের মধ্যে ৯১ জন একটি বিস্তারিত মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন এবং কমার্শিয়াল টিমের সঙ্গে অালোচনার ভিত্তিতে ৪১ নারী ও পুরুষকে কোম্পানিতে নতুন কাজ দেয়া হয়। কর্মীদের এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গ্রামীণফোন খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্বপালন করছে।

এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির দাবি, কোনো প্রমাণ ছাড়া নারী হয়রানির ইংগিত দেয়া শুধু মানহানিকর নয়, অসৎ উদ্দেশ্যপূর্ণ। মনে হচ্ছে জিপিইইউ (প্রস্তাবিত) নতুন কর্মসংস্থানের পক্ষে নয়, বরং নারীদের নতুন সুযোগ দিতে আগ্রহী নয়।

তালাত কামাল বলেন, আমরা কর্মীদের সংগঠন করার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইসিটি ও টেলিকম খাতে ইউনিয়ন গঠনকে সমর্থন করি। কিন্তু আমরা কর্মী অধিকারের নামে কোম্পানির ভাবমূর্তির ওপর উদ্দেশ্যপূর্ণ আক্রমণকে সমর্থন করি না।

আরও পড়ুন :

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নারী হাজতিকে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জন বদলি
ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
চাকরি দেবে পপুলার ফার্মা, বছরে ৩ বোনাস
অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি দেবে ব্র্যাক, রয়েছে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা
X
Fresh