• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

১২ লাখ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব অর্থনীতি সমিতির

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ মে ২০১৮, ১৬:৪০

আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১২ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বড়।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।

তিনি বলেন, সমিতির প্রস্তাবিত এই টাকার অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন খাতে যাবে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব আয় থেকে আসবে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮২০ কোটি টাকা।

রাজস্ব আয়ের প্রধান খাত সমূহ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষক বলেন, খাতগুলো হবে আয় ও মুনাফার উপর কর, মূল্য সংযোজন কর, লভ্যাংশ ও মুনাফা, জরিমানা-দণ্ড, বাজেয়াপ্তকরণ, সম্পূরক কর, লভ্যাংশ ও মুনাফা, অর্থপাচার রোধ থেকে প্রাপ্তি, কর ব্যতীত অন্যান্য রাজস্ব ও প্রাপ্তি, কালো টাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি, সম্পদ কর, যান বহন কর, মাদক শুল্ক, ভূমি রাজস্ব থেকে।

অর্থনীতি সমিতি এবারের বাজেটে বেশ কয়েকটি খাতে বরাদ্দ বাড়াতে বলছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বেশি ব্যয়, এরপর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, জনপ্রশাসন, পরিবহন ও যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ, কৃষি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস, গৃহায়ন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : অ্যামাজন রুখতে মরিয়া ওয়ালমার্ট-টার্গেট
--------------------------------------------------------

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বারকাত বলেন, কেউ কেউ এটা উচ্চাকাঙ্খার বাজেট প্রস্তাব বলতে পারেন। আমাদের দেশে বিরোধী দলের কাজই হলো বাজেটের প্রস্তাবনার পর এটাকে ‘উচ্চাকাঙ্খার বাজেট’ ও ‘গরিব মারার বাজেট’ বলে থাকে।

এ অর্থনীতিবিদের মতে, দেশে এখন ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে। বাজেটে এ সমস্যা সমাধানে পদ্ধতিগত নির্দেশনা থাকতে হবে। অর্থপাচার রোধ থেকে আগামী অর্থবছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেট প্রস্তাবে।

বর্তমানে বাজেট তৈরি করা হয় সব মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে, যা অর্থ বিভাগ চূড়ান্ত করে। এ ব্যবস্থায় সৃজনশীল চিন্তার সুযোগ কম। এতে সমস্যার দোরগোড়ায় পৌঁছানো যায় না এবং বাজেটও বাস্তবসম্মত হয় না।

এ অবস্থা নিরসনে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি রাজস্ব কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন এ অধ্যাপক।

এক প্রশ্নের জবাবে দেশে আনুমানিক ৫ লাখ কোটি টাকা থেকে ৭ লাখ কোটি কালো টাকা রয়েছে জানিয়ে ড. আবুল বারকাত বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে কালো টাকা দেশের মোট জিডিপির ৪২ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ। এটাকে কমানোর জন্য সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারে এবং একটি কমিশনও গঠন করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ।

আরও পড়ুন :

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী : অর্থমন্ত্রী
নিপুণের অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস
X
Fresh