‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে এখনই নীতি নির্ধারণ করতে হবে’
১২ মে। বাঙালী জাতির জন্য স্বর্ণালী দিন বিশ্ব ইতিহাসের খাতায় লেখা এক মুহূর্ত। মহাকাশে পাড়ি জমায় দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। এরইমধ্যে এটি সংকেত পাঠাতে শুরু করেছে।
গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন সংকেত পেলেও এটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছে যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া এবং ইতালির স্পেস স্টেশন। নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বঙ্গবন্ধু-১ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পাবে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন।
আগামী ৩ মাসের মধ্যে স্যাটেলাইটটি সেবা দেয়া শুরু করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্যাটেলাইটটি মহাকাশে যাওয়ার পর এটি এখন বাস্তবায়নের পালা। এজন্য সরকারকে এখনই এই স্যাটেলাইট নিয়ে ভাবতে হবে। এ নিয়ে নীতি-কাঠামো ঠিক করতে হবে।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, এর জন্য পলিসি নির্ধারণটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নীতি নির্ধারণ করতে হবে- কোন কোন চ্যানেলকে কমার্শিয়ালই দেয়া হবে; আর কোন কোন চ্যানেলকে সার্ভিস বা দেশের জন্য সার্ভিস হিসেবে দেয়া হবে। সেটা টেলি এডুকেশন হতে পারে, টেলিমেডিসিন হতে পারে বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট হতে পারে।
তিনি বলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে এটার প্রয়োগ হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
শুধু আর্থিক লাভ নয়, দেশের প্রতিটি মানুষকে সেবা দেয়ার মানসিকতায় এই বিনিয়োগ অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে।
যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশি স্যাটেলাইটের সেবা গ্রহণ করছে প্রথম পর্যায়ে ছাড় দিয়ে হলেও তাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহারে সুযোগ করে দিতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে কম রেটে চ্যানেলগুলো সাবস্ক্রাইব দিতে হবে। সাবস্ক্রাইব না দিলে তো ফাঁকা পড়ে থাকবে।
‘ফাইন্যান্সিয়াল বিষয়টি কারা মনিটরিং করবে সে বিষয়ও ঠিক করতে হবে সরকারকে। এই নিয়ন্ত্রণ বিটিআরসি করবে নাকি অন্য কেউ করবে- তা ঠিক করতে হবে। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস যদি ভুল হয়, তবে কিন্তু লস প্রোজেক্টে চলে যাবে।’
জাতীয় স্বার্থে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যথাযথ ব্যবহারে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা এই বিশেষজ্ঞের।
এসআর
মন্তব্য করুন