বিশ্ববাজারে এক বছরে চিনির দাম কমেছে ২৪ শতাংশ
বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম টানা বাড়ছে। গত বছরের শেষ মাসে একটু কমলেও জানুয়ারি থেকে টানা ঊর্ধ্বমুখী দাম। তবে উল্টোদিকে চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম। গেলো এপ্রিলে এই দুই পণ্যের দাম বেশ কমেছে।
জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠেছে।
সংস্থাটি বলছে, এই দুই পণ্যের দাম কম হওয়ার কারণে গেলো এপ্রিলে বিশ্ববাজারে সার্বিকভাবে খাদ্যপণ্যের দাম তেমন বাড়েনি।
তবে দানা জাতীয় খাদ্যশস্য ও দুগ্ধ জাতীয় পণ্যের দাম বাড়তি থাকায় এপ্রিলের সার্বিক সূচকে প্রভাব ফেলেছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ২৩ বারেও দাখিল হয়নি রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন
--------------------------------------------------------
এফএওর ফুড ইনডেক্স অনুযায়ী, এপ্রিলে খাদ্য সূচক হয়েছে গড়ে ১৭৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট। যা মার্চ থেকে সামান্য বেশি। তবে গেলো বছরের একই সময়ের থেকে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
বিশ্বব্যাপী ৫ ধরনের পণ্য নিয়ে গবেষণা করে প্রতিমাসে প্রতিবেদন প্রকাশ করে এফএও। এ পণ্যের মধ্য রয়েছে- দানা জাতীয় খাদ্যশস্য, দুধ, মাংস, ভোজ্য তেল ও চিনি।
ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, দানাজাতীয় খাদ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে চিনির দাম কমেছে আরও। চাপে আছে ভোজ্যতেল ও মাংসের দাম।
এপ্রিলে চিনির দাম কমেছে মার্চের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ আর গেলো বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ২৪ শতাংশের মতো। ডিসেম্বর থেকেই চিনির এই নিম্নমুখী ধারা বজায় আছে।
জাতিসংঘের এ সংস্থা মনে করছে, চিনির সরবরাহ ভালো থাকায় বিশেষ করে ভারত ও থাইল্যান্ডে রেকর্ড উৎপাদন হওয়ায় এই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন :
এসআর/সি
মন্তব্য করুন