• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ, কারিগরদের ভাগ্য কি পাল্টেছে?

মারুফ রেজা, আরটিভি অনলাইন

  ০১ মে ২০১৮, ১৪:০২
ছবি- আরটিভি অনলাইন

উন্নয়নের মহাসোপানে হাঁটছে বাংলাদেশ। বেড়েছে প্রবৃদ্ধি, বেড়েছে মাথাপিছু আয়ের সূচকও। কিন্তু উন্নয়নের পেছনের কারিগর যারা, সেসব মেহনতি মানুষের ভাগ্য কি পাল্টেছে? উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে উত্তরণ কি ঘটেছে তাদের যাপিত-জীবনের? শ্রমিক দিবস এলেই তাদের দেয়া হয় নানান প্রতিশ্রুতি-আশ্বাস, তাতেও কি পাল্টায় তাদের শ্রমমূল্য কিংবা ভাগ্যের?

আলো ফোটার এ গল্পে তখনো ঘুম ভাঙেনি অনেকের। তাতে অবশ্য মোকসের আলীর যায় আসে না কিছুই। বেঁচে থাকার নিশ্বাসজুড়ে কাজই তার একমাত্র বিশ্বাস।

জীবনের শেষ সময়েও এসেও কাঁধের উপর ইটের সংখ্যা কমেনি; বরং আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে, তাঁর বেঁচের থাকার বাস্তবতা। কিন্তু চল্লিশ বছরের শ্রমজীবন কতটাইবা পরিবর্তন এনেছে তার দর কষাকষির জীবনে?

মোকসের আলী বলছিলেন, তিনি ভাটায় সারাদিন গাঁধার খাটুনি খেটে যে আয় করেন, তা দিয়ে টেনে টুনে সংসার চলে, সংসারের শুধু টালবাহানা করতেই তা ফুরিয়ে যায়। তারপরও কাজের একটু হেরফের বা উল্টাপাল্টা কিছু হলে একবার ম্যানেজার, একবার সরদার, একবার কোম্পানির কথা বকা শোনা লাগে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : উড়োজাহাজ লিজ নিতে কেন ব্যর্থ হলো বিমান?
--------------------------------------------------------

৪৭ বছরের পথ পরিক্রমায় উন্নয়নের মহাসোপানে এখন বাংলাদেশ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে আয়-ব্যয়ের বাজেট, বাড়ে প্রবৃদ্ধি। কিন্তু অর্থনীতির এ জটিল সমীকরণ আজও কি ছুঁতে পেরেছে সহজ এ মানুষগুলোকে?

পরিসংখ্যান বলছে, যে তৈরি পোশাক সমৃদ্ধ করে তুলছে দেশের অর্থনীতি; সেই পোশাক শ্রমিকদের মজুরিই বিশ্বসূচকে সবচেয়ে কম বাংলাদেশে। একই অবস্থা ইট শ্রমিক কিংবা দিনমজুরদের।

ইট শ্রমিকরা জানান, তারা যে পরিশ্রম করেন, তার পূর্ণ প্রাপ্ত তারা পান না। তাদেরকে অনেক ঠকানো হয়।

এক নারী শ্রমিক বলেন, স্বামী নাই, সন্তান নাই, আমাদের আছে ইট। সারাদিনে ইট ভাঙতি পারলেই ভাত জোটে, নইলে নাই। এই হলো আমাদের পরিচয়।

দেশের প্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের একটি তহবিল আছে। যেখানে এ পর্যন্ত জমাও হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। তবে বেশির ভাগ শ্রমিকই জানেন না সে খবর।

উন্নয়নশীলতা কাটিয়ে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন ছুঁতে চায় দেশ। কিন্তু উন্নয়নের কারিগর এসব মানুষের মুখে হাসি ফুটবে কবে? আর কত দিবসে কত প্রতিশ্রুতি দিলে, তবেই মিলবে ন্যায্য অধিকারটুকু?

আরও পড়ুন :

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
আঙুরে বাংলাদেশের বর্ধিত শুল্ক তুলে নিতে আবেদন ভারতীয় চাষিদের
এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিলের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠন
X
Fresh