• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

'রডের দাম সিন্ডিকেটের কারণে বাড়েনি'

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৩২

রডের মূল্য বৃদ্ধি কোনো সিন্ডিকেটের কারণে হয়নি বলে দাবি করেছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন,রডের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিনিময় হার ও বন্দরের খরচ বৃদ্ধি, পণ্য পরিবহনে ওজনসীমা নির্দিষ্ট করে সরকারর এক্সেল লোড আইন প্রবর্তন, গ্যাসের সংকট, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ার কারণেই রডের দাম বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ খাতের ৩ সংগঠন। সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রি-রোলিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলনে অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন বলেন, রডের প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপ। বিশ্ববাজারে গত জুলাইয়ে প্রতি টন স্ক্র্যাপের দাম ছিল ৩১২ ডলার। গত মাসে সেটি বেড়ে ৪২৭ ডলার হয়েছে। এ জন্য রডের উৎপাদন খরচ টনপ্রতি ৯ হাজার ৮৯২ টাকা বেড়েছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে প্রতি টন রডে ১ হাজার ৭০৮ টাকা খরচ বেড়েছে। তা ছাড়া স্পঞ্জ আয়রন ও ফেরো অ্যালয়েজ নামক রাসায়নিকের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রডের দাম প্রতি টনে ১ হাজার ৯৮৯ টাকা বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যবৃদ্ধি ১৩ হাজার ৫৯০ টাকা।

তিনি বলেন, আগে আমদানি করা কাঁচামালের কনটেইনার জাহাজ থেকে ট্রেলারে করে সরাসরি কারখানায় চলে আসত। তবে এখন জাহাজ থেকে বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনার যায়। সেখান প্রতি কনটেইনারে সাড়ে সাত হাজার টাকা চার্জ দিতে হয়। ডিপো থেকে কাঁচামাল কারখানায় আসে। আগে প্রতি ট্রেলারে ২৫ টন পণ্য পরিবহন করা যেতো। বর্তমানে করা যায় মাত্র ১২ টন। বন্দর ও পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি টন রডের মূল্যে ১ হাজার ৪৬৮ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া গ্যাসের সমস্যা ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এবং ব্যাংকঋণের সুদের হার বৃদ্ধির কারণে প্রতি টন রডের মূল্যে ২ হাজার ৬৭৪ টাকা বেড়েছে।

সব মিলিয়ে প্রতি টন রড উৎপাদনে ১৮ হাজার ৪১৯ টাকা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন মানোয়ার হোসেন।

তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববাজারে স্ক্র্যাপের মূল্যে ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তখন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

সম্প্রতি হঠাৎ করেই প্রতি টন রডের মূল্য ৫৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। রডের দাম কিছুটা কমাতে হলে পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরেন মানোয়ার হোসেন।

এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- সরকারকে অনতিবিলম্বে পণ্য পরিবহনে ওজনসীমা নির্দিষ্ট করে এক্সেল লোড আদেশটি ইস্পাত খাতের জন্য শিথিল করতে হবে। জাহাজ থেকে সরাসরি পণ্য সরবরাহ করতে হবে। স্ক্র্যাপ আমদানি শুল্ক দেড় হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা, অগ্রিম আয়কর ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা, রাসায়নিকের আমদানিতে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ১৫ শতাংশ প্রত্যাহার দরকার। তা ছাড়া ব্যাংকঋণের সুদের হার হ্রাস করার ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করতে হবে।

এসআর/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড
হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম, অপরিবর্তিত আদা-রসুনের দাম 
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পরও কমেছে দাম
বড় খামারিদের কারসাজিতে ৫০০-তে নামছে না গরুর মাংস 
X
Fresh