• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ডিম-সবজিতে কমেছে মূল্যস্ফীতি

শাহীনুর রহমান

  ০৩ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:৫৬

ভরা শীতে সবজি বাজারে উত্তাপ থাকার পর অবশেষে এ বাজারে বসন্ত নামে গেলো ফেব্রুয়ারিতে। অনেকটা কম দামে পাওয়া যায় শাক-সবজি। রাজধানীতে এক কেজি টমেটো বিক্রি হতে দেখা যায় ১০ থেকে ১৫ টাকায়। আর সাধের লাউয়ের দাম নেমেছিল ২০/২৫ টাকায়। এছাড়া শিম, ফুল কপি, বড় বাধা কপিও পাওয়া যায় ৩০ টাকার নিচে।

শীতের অন্যান্য সবজিও বিক্রি হয় প্রতি কেজি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হতে দেখা যায় ১৫ টাকা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, ডিম-সবজিতে স্বস্তিতে চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি কমেছে। জাতীয় পর্যায়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

তবে এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার কম। ওই তৃতীয় প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি হয় ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

গেলো অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় শেষ তিন মাসে ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্য ইত্যাদির দাম কম হওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

তবে এসময়ে বাজারের তথ্য বলে, উল্টো দিকে ছিল চালের দাম।

ফেব্রুয়ারিতেও রাজধানীতে মোটা চালের কেজিপ্রতি দর ছিল যখন ৪০ টাকা, সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৬ টাকায়। মাঝারি মানের চালের দাম কেজিতে রাখা হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকায়। ভালো মানের মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিবিএসের তথ্যে দেখানো হয়, এসময় বেড়েছে বেশির ভাগ পণ্যের দাম। দাম বৃদ্ধি পাওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে পরিধেয় বস্ত্র, জ্বালানি ও আলো, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন এবং শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদি।

জানুয়ারি-মার্চের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গ্রামীণ পর্যায়ে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

শহর পর্যায়ে, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গেলো বছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এসআর/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা, নিহত ১
দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চলছে বঙ্গবাজারে  
ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবাজারের অবৈধ দোকান
মিয়ানমারের আরও ৫ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
X
Fresh