কইয়ের তেলে কই ভেজেছেন মোরশেদ মুরাদ
১০টি ব্যাংক ও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে কেবল বেসিক ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোরশেদ মুরাদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, মোরশেদ মুরাদের নেয়া একটি টাকাও ছাড় দেয়া হবে না।
বড় অংকের দেনাসহ বাবার রেখে যাওয়া ইব্রাহিম কটন মিল বিক্রি করে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ১০ বছর আগে গড়ে তোলেন ক্রিস্টাল গ্রুপ নামে নতুন প্রতিষ্ঠান। এরপর প্রতিষ্ঠানটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে একের পর এক ঋণ নিতে থাকেন। যা নিয়মিত পরিশোধ না করায় তার খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় হাজার কোটি টাকা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি জটিল’
--------------------------------------------------------
ব্যাংকের তথ্য বলছে, মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম কেবল সরকারি বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ক্রিস্টাল স্টিল অ্যান্ড শিপ ব্রেকিংয়ের নামে ১৩৪ কোটি, অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আইজি নেভিগেশনের নামে ১৪১ কোটি, বে নেভিগেশনের নামে ১২৭ কোটি এবং এমআরএফ ট্রেড হাউজের নামে নিয়েছেন ৭০ কোটি টাকা।
এদিকে, ১০ কোটি টাকার শেয়ার কিনে মোরশেদ মুরাদ উদ্যোক্তা হয়েছিলেন ফারর্মাস ব্যাংকের। তবে তথ্য বলছে, নিজের ব্যাংক থেকেই তিন দফায় ৭৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। যা এরই মধ্যে খেলাপি হয়েছে।
এছাড়া, রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালি ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ১১৩ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ৪০ কোটি, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি এবং প্রাইম ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ২২ কোটি টাকা। এছাড়া, সিটি ব্যাংক ও বিডি ফিন্যান্সসহ নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেও বড় অংকের ঋণ নিয়ে ফেরত দেননি চট্টগ্রামের এই ব্যবসায়ী।
এদিকে, বেসিক ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোরশেদ মুরাদ ও তার স্ত্রী জাতীয় পার্টির সাংসদ মাহজাবিন মোরশেদ বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলাটি তদন্তনাধীন থাকায় এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি কেউ।
কথা বলতে চাইলে মোরশেদ মুরাদ ও তার স্ত্রী দুজনেরই মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামিতে এ ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারি ঠেকাতে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন বলেন, পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন:
এসআর
মন্তব্য করুন