অন্ধের মতো উন্নয়নের পেছনে ছুটে লাভ কী?
টেকসই উন্নয়ন মানে কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়। নদী, মাটি, বাতাস তথা প্রাকৃতিক পরিবেশকে ঠিক রেখে যে উন্নয়ন করা হবে, সেটাই কেবল উন্নয়নের পর্যায়ে পড়ে। যদি নিজের বসবাসের জায়গা, পরিবেশটা ঠিক না থাকে, তবে অন্ধের মতো উন্নয়নের পেছনে ছুটে লাভ কী?
আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত “সবুজ প্রবৃদ্ধি : গণমাধ্যম সংলাপ” অনুষ্ঠানে বক্তাদের কথায় এসব তথ্য উঠে আসে।
‘বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম’ এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংগঠনটির সভাপতি কামরুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল-মহসিন চৌধুরী।
এসময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হক, অ্যাডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর শুভজিত চট্টোপাধ্যায়, ড. রেজাউল করিম, ড. সালেমুল হক, মানবকণ্ঠের নগর সম্পাদক শাহনেওয়াজ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গার্মেন্টস খাতে প্রতি এক ডলার আয় করতে প্রতিদিন যে হারে নদীর পানি নষ্ট হচ্ছে তার ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ৬ ডলার।
তারা আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের দিকেও নজর দিতে হবে। কারণ দেশের বন ও নদী দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ রক্ষায় সবুজায়নের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে আব্দুল্লাহ আল মহসিন জানান, দ্রুতগতিতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে। সমানতালে তৈরি হচ্ছে পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতাও। তবে সবকিছুর সমন্বয় ঘটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে সবার সহযোগিতা দরকার।
এসময় আনিসুল হক বলেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশের দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি। এজন্য চাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন:
এসআর/পি
মন্তব্য করুন