ফোরজি সিম বদলে কেন টাকা নেবেন?
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা (ফোরজি) চালু করেছে মোবাইলফোন অপারেটরগুলো। কোম্পানিগুলো বলছে, এই সেবা নিতে হলে গ্রাহকদের ফোরজি সমর্থনযোগ্য সিম ও হ্যান্ডসেট থাকতে হবে।
এজন্য আগের সিমগুলো ফোরজিতে আপগ্রেড করার বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে কোনো কোনো অপারেটর। তবে গ্রাহকদের জন্য এই সিম বদলে বাড়তি টাকা আদায় নতুন প্রযুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য টেলিকম অপারেটরগুলো এই টাকা নিচ্ছে না বলে জানিয়েছে। তারা বলছে, সরকারের পক্ষ থেকেই এই টাকা আদায় হচ্ছে। সিম প্রতিস্থাপন বাবদ গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা।
তবে টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা কেন এই টাকা আদায় করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলছেন, চুতর্থ প্রজন্মের সেবা পেতে আগের টুজি ও থ্রিজি সিমগুলোকে পূর্বের নাম্বার বহাল রেখে রিপ্লেসমেন্ট করতে অপারেটররা ১১০ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২০ টাকাও আদায় করছে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, এক্ষেত্রে রাজস্ব বিভাগ ১০০ টাকা ভ্যাট ধার্য করেছে। আগে এমএনপি (নাম্বার অব পোর্টাবিলিটি) বা নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভ্যাট নির্ধারণ করা হয় ৩০ টাকা। তাহলে ফোরজি রিপ্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে সামান্য প্রযুক্তির পরিবর্তনের একই নাম্বার একই অপারেটর থাকা সত্ত্বেও কী কারণে ১০০ টাকা ভ্যাট আদায় করা হবে। এটি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।
তিনি এই যুক্তি তুলে ধরে সিম রিপ্লেসমেন্টে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিবান্ধব ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ থেকে চতুর্থ প্রজন্মের দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা চালু করার জন্য চারটি মুঠোফোন অপারেটরকে ফোরজি লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এনবিআরের এই ভ্যাট আদায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও এই ভ্যাট আদায় মওকুফ করার জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:
এসঅার
মন্তব্য করুন