যেসব চুক্তি হলো
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বিকেলে চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব চুক্তি হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন দু’নেতা।
চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে শি জিনপিং ও শেখ হাসিনা যৌথভাবে ৬ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। সেগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, কর্ণফুলী নদীর বহুমুখী টানেল, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা ও চট্টগ্রামে ২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার ও শাহজালাল সার কারখানা।
এর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চীন বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি সই করেন।
শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু সই করেন উৎপাদনশীলতা সহযোগিতা চুক্তি।
এ ছাড়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ করে কর্ণফুলী টানেল, দাশেরকান্দি পয়ঃনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং ৬টি জাহাজ সম্পর্কিত মোট ৪টি ঋণচুক্তি।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ চীন-বাংলাদেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের সম্ভাব্যতা যাচাই সমঝোতা স্মারক সই করেন।
১৯৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের অর্থনৈতিক চুক্তি বিনিময় হওয়া প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, চায়না ইকোনমিক জোন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রশস্ত করা এবং হ্যালো চায়না ব্রডকাস্টিং লাইসেন্স প্রটোকল। আর বন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টিভি স্টেশন শক্তিশালী করতেও হয়েছে ৪টি সমঝোতা।
এ ছাড়া সমুদ্রসীমা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবতর্নের ঝুঁকি মোকাবিলা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার লক্ষ্যে আরো ৬টি সমঝোতা সই হয়।
ডিএইচ/এসজেড
মন্তব্য করুন