মোটরসাইকেলের মার্কেটিংয়ে থ্রিএস কৌশল ইয়ামাহার
২০১৭ সালটি বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে একটি বিশাল পরিবর্তন এসেছে। প্রায় চার লাখ নিট মোটরসাইকেল বিক্রয় হয়েছে এই বছরে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বড় বড় মোটরসাইকেল কোম্পানিগুলো এক সঙ্গে হয়েছে। সবচেয়ে বড় যেই পরিবর্তনটি এসেছে ২০১৭ সালে তা হলো আফটার সেল সার্ভিস। এক্ষেত্রে ইয়ামাহা নিজেদেরকে অন্যতম রোল মডেল বলে মনে করছে।
ব্র্যান্ডটির বর্তমানে সারাদেশে ৩৮টিরও বেশি থ্রিএস সেন্টার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ব্যাংকে একই পরিবারের ৪ পরিচালক, সংশোধন বিল পাস
--------------------------------------------------------
থ্রিএস সেন্টার সম্পর্কে ইয়ামাহা বলছে, থ্রিএস হলো সেলস, সার্ভিস এবং স্পেয়ার পার্টস এর সমন্বয়। অতীতে মোটরসাইকেল কোম্পানিগুলো তাদের ডিলারশিপ দিত যাদের শো-রুম রয়েছে, কিন্তু এতে করে বাইকাররা কোনো সমস্যায় পড়লে তাদের সেন্ট্রাল সার্ভিস সেন্টারে যেতেন।
লোকাল ও দক্ষ প্রশিক্ষিত মেকানিকের মাধ্যমে সেবা নিতে হতো। যা সাধারণত জেলা শহরগুলোতে হতো। তবে ইয়ামাহা এবং হোন্ডা তাদের নিজস্ব কনসেপ্ট নিয়ে হাজির হয়েছে।
ইয়ামাহা শুরু করেছে থ্রিএস সেন্টার কনসেপ্ট। এটা শুধু তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াবে এবং ব্র্যান্ড ইমেজ ও বাড়বে। ইয়ামাহা শুধু থ্রিএস ডিলারশিপই দেয়নি। সেই সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে মোটরসাইকেল সার্ভিসিং এর নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
সেলস
মোটরসাইকেল ব্যবসার সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে সেলস। কোম্পানিকে জানতে হবে যে মার্কেটে যে সঠিক প্রোডাক্ট দিতে হবে। একই সময়ে খেয়াল রাখতে হবে কাস্টমার যাতে করে উন্নত প্রোডাক্ট পায়। তাই সেলস বাড়ানোর লক্ষ্যে ইয়ামাহা থ্রিএস সেন্টার চালু করেছে।
সার্ভিস
বর্তমানে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ইয়ামাহা মোটরসাইকেল ফুয়েল ইঞ্জেক্ট। তাই এসিআই মোটরস দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মেকানিক নিয়োগ করেছে।
স্পেয়ার্স
সবশেষে আসে থ্রিএসের শেষ পার্ট স্পেয়ার্স পার্টস। এখানে আপনি সব স্পেয়ার্স পার্টস পাবেন। যা এসিআই মোটরস ডিসট্রিবিউটর হিসেবে যেসব মোটরসাইকেল বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে তার সব পার্টস পাবেন। আপনি নিশ্চিতভাবে সব অরিজিনাল পার্টস পাবেন এবং পার্টসের দাম প্রায় নির্ধারিত।
আরও পড়ুন:
এসআর
মন্তব্য করুন