• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

দারিদ্র্যের হার কমেছে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:৩২

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানব উন্নয়ন সূচকের অগ্রগতির কারণে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে দারিদ্র্যের হার মোট জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ।মাথাপিছু আয়ের তুলনায় দেশে দারিদ্র্য হ্রাসের হার অনেক বেশি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন পার্শ্ববর্তী ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভূটানের চেয়ে ভালো।

গেলো সোমবার বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ হিসাব তুলে ধরা হয়।

এ উপলক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার আবাসিক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এতে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বক্তব্য দেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, জীবনযাত্রার মানদণ্ডের বিচারে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। পাশাপাশি অতি দারিদ্রসীমা নির্ধারণে পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনায় দারিদ্র্ বিমোচনে ভালো করেছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে (এসডিজি)হিসাব অনুযায়ী দরিদ্র মানুষের সংখ্যা শূণ্যে নামিয়ে আনতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। এজন্য প্রবৃদ্ধিকে অধিক অন্তর্ভূক্তিমুলক করতে হবে।

তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি, সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার সম্প্রসারণ এবং এ জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য বিপনন ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধিকে অধিক অন্তর্ভূক্তিমুলক করা যেতে পারে। অন্তর্ভূক্তিমুলক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলে ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশে দারিদ্র্য হার ২ দশমিক ৮৮ শতাংশে নেমে আসবে।

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে এলে তাকে শূণ্য দারিদ্র্য বলে হিসাব করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় এখন ১ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলারের কম।

বিশ্বব্যাংক গেলো অর্থবছরে অর্জিত ৭ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধিকে ভিত্তি ধরে অতি দারিদ্র্যের হার হিসাব করেছে।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কোনো দেশের দারিদ্র্যের হার বলতে মূলত অতি দারিদ্র্যকে বোঝানো হয়। প্রত্যেক অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে বিচার করে বিশ্বব্যাংক এই হার ঠিক করে।

সেই হিসাবে ২০১০-১১ সময়ে বাংলাদেশে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ।

চলতি অর্থবছর ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।গেলো সোমবার বিশ্বব্যাংক এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে।

সেক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছর অতি দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসবে।

এবারের বাজেটে চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশ আর্থিক প্রবেশাধিকার, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা সম্প্রসারণ এবং লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এতে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। ফলে দেশ দারিদ্র্য হ্রাসে সাফল্য পেয়েছে। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো খাত শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন।

যাদের আয় দৈনিক ১ দশমিক ৯০ ডলারের কম, বিশ্বব্যাংক তাদের অতি দরিদ্র বলে চিহ্নিত করেছে।

ডিএইচ/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh