• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

পদ্মা সেতু দৃশ্যমান বাণিজ্য মেলার প্রবেশপথে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:১২

আন্তর্জাতিকভাবে দৃশ্যমান করতে এবারের বাণিজ্য মেলার প্রবেশদ্বার সাজানো হচ্ছে পদ্মা সেতুর আদলে। এর মাধ্যমে তুলে ধরা হবে নিজেদের অর্জন আর উন্নয়নের গতি। আর মাত্র পাঁচদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।

মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, প্রাঙ্গণজুড়ে দ্রুতগতিতে চলছে বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন, স্টল ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণের কাজ। সঙ্গে সুন্দরবন ইকো পার্কসহ নানা আয়োজন। বিশেষ করে প্রবেশদ্বারের কাজ সম্পন্ন করতে হবে ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতের আগেই। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ। বাকি রয়েছে ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট। কারণ ১ জানুয়ারি প্রবেশদ্বারের ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মেলা সচিবালয়ের সচিব এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপ-পরিচালক (ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, পদ্মাসেতু আমাদের নিজেদের অর্জনই শুধু নয়, দেশের উন্নয়নে জ্বলন্ত প্রতীক। এটি দেশে দৃশ্যমান। এখন আন্তর্জাতিক মহলে দৃশ্যমান করতেই আমাদের এই প্রয়াস।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার বর্ণাঢ্য এই প্রবেশদ্বারটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে ঢোলক কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

ঢোলক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ ঘোষ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য আর উন্নয়নের আধুনিক গতিধারাকে প্রাধান্য দিয়ে গেটের তিনটি ডিজাইন জমা দিয়েছিলাম মেলা সচিবালয়ে। তারা পদ্মাসেতুর ডিজাইনটিকেই অনুমোদন দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ঐতিহ্য হিসেবে যুক্ত হয়েছে ঢাকা গেট এবং এ বছর আন্তর্জাতিকভাবে প্রাপ্ত দুটি অর্জন। অর্থাৎ প্রবেশদ্বারের দুই পাশে সামঞ্জস্য রেখে স্থাপন করা হবে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে মাদার অব হিউম্যানিটি খেতাবপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি।

২০ ডিসেম্বর থেকে এই প্রবেশদ্বার নির্মাণের কাজ শুরু করে ঢোলক। মূল কাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। আগামী ৫ দিনের মধ্যে শেষ করা হবে দুই পাশের কাঠামো নির্মাণসহ ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ।

বিভিন্ন সেক্টরের প্রায় ৬৫ জন শ্রমিক দিন-রাত পরিশ্রম করছেন মেলার এই প্রবেশদ্বার নির্মাণে। এদের মধ্যে পাঁচজন শুধু গেট নির্মাণের জন্যই এখানে এসেছেন সুদূর পঞ্চগড় থেকে।

রবিউল ইসলাম বলেন, শুধু মেলার কাঠামো নির্মাণের জন্যই প্রতিবছর আমরা এখানে আসি। কাজ করি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অধীনে। নির্মাণকাজ শেষ হলে চলে যাই নিজ এলাকায়।

এই প্রবেশদ্বারের কাজ সম্পন্ন করতে ৪০-৫০ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ঢোলক-এর কর্ণধার দেবশীষ ঘোষ।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh