• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

পুঁজিবাজারের লেনদেনে ভাটা কি স্বাভাবিক?

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৩৬

পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেনে ভাটা পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন সাড়ে ৫শ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করতে পারছে না।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গেলো ১২ কার্যদিবসে লেনদেন ৫শ ১১ কোটি টাকার মধ্যেই আটকে আছে। অথচ চলতি মাসের শুরুতে ডিএসইতে লেনদেন ছিল ৬০০ কোটির ঘরে। এরপর থেকে বাজারে নিম্নগতি অব্যাহত আছে।

১৭ ডিসেম্বর বাজারে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। যা গেলো ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সর্বশেষ কার্যদিবসেও দেখা যায়, লেনদেন হয়েছে ৩৫৯ কোটি টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন পুঁজিবাজারে এই নিম্নগতি স্বাভাবিক। বিনিয়োগকারীদের চোখ এখন ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের দিকে। যার কারণে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গেলো বছরের এই সময়েও একই গতি ছিল।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ আরটিভি অনলাইনকে জানান, ডিসেম্বর মাসে এমনিতেই লেনদেন একটু কমে। ব্যাংকগুলো হয়তো লোনও আগের মতো দিচ্ছে না। বিশেষ করে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। তারা নিজস্ব পোর্টফোলিওতেও হয়তো কিনছে না। কেউ কেউ শুধু বিক্রি করছে।

“বাজারের ট্রেন্ডটা যখন নিম্নমুখী হয়, তখন লেনদেনও কম থাকে। এটা বাজারে স্বাভাবিক ঘটনা।”

তিনি বলেন, যেহেতু প্রাইস ইনডেক্স পড়ছে, সেজন্য টার্নওভার কমবে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষ তিন মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে মোট লেনদেনের ৪০ শতাংশের ওপরে ছিল ব্যাংক খাত। কিন্তু নভেম্বরে দেখা যায় তা ৩০ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। ডিসেম্বরে তা আরো পতন হয়েছে। গেলো সপ্তাহে মোট টার্নওভারে এ খাত দখলে নিয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার মোট লেনদেনের ২১ শতাংশ ব্যাংক দখল করেছে। তবে এদিন ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ২০টির শেয়ারেই দরপতন দেখা যায়।

কেন ব্যাংকের শেয়ারে দরপতন হচ্ছে- এমন প্রশ্নে আবু আহমেদ বলেন, বিনিয়োগকারীরা আসলে ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের দিকে চেয়ে আছে। তারা দেখতে চাচ্ছে- কোন ব্যাংক কত পরিমাণ আয় করেছে? তারা এখন ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ নীতিতে আটকে আছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান দামের চেয়ে গত বছরের এই সময় ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম ছিল। সুতরাং বিনিয়োগকারীরা হয়তো সেদিকেও নজর দিচ্ছে। তারা বেশি দরে ব্যাংকগুলোর শেয়ার কিনতে চাচ্ছে না।

জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহ বাজারে নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলছে কিনা- সে প্রসঙ্গে আরটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, প্রভাব হয়তো সীমিত আকারে পড়ছে। তবে যে দুটিব্যাংক নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে সে দুটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না। সুতরাং এ বিষয়টি সামগ্রিকভাবে শেয়ারে প্রভাব ফেলছে বলে আমি মনে করি না।

তবে ব্যাংকিং খাতে ডিপোজিটরদের (আমানতকারী) মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এসআর/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চীনের সঙ্গে সরাসরি লেনদেনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
খলিলের মাংসের ব্যবসায় ভাটা
মোবাইলে প্রতিদিন ৪ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন
পঞ্চগড়ে দুই ইটভাটাকে জরিমানা
X
Fresh