• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রিজাল ব্যাংককে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে না: অর্থমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:৪৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসি) যে অভিযোগ করেছে, সেটি নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেছেন, রিজাল ব্যাংককে বলির পাঁঠা বানানোর কোনো চেষ্টা হচ্ছে না, প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার কোনো যোগ্যতা নেই।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

গেলো শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। পৃথিবী থেকে রিজাল ব্যাংকটাকেই বিদায় করতে হবে।

তবে এর পেছনে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

অর্থমন্ত্রীর এ মন্তব্যের পর আরসিবিসি জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় নিজেদের গাফিলতির দায় এড়াতে তথ্য গোপন করে বাংলাদেশ ব্যাংক আরসিবিসিকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাতে চাচ্ছে।

ব্যাংকটি এও অভিযোগ করে, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকই দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।

ব্যাংকটির এ ধরনের অভিযোগের খবর দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে রয়টার্স। ওই প্রতিবেদনে আরসিবিসির হেড অব লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স জর্জ ডেলা কুয়েস্তার বরাতে বলা হয়, আইনত যেসব তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব, আরসিবিসি তার সবই ফিলিপিন্সের সিনেট এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকই সবকিছু লুকিয়েছে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার আরসিবিসি’র চারটি অ্যাকাউন্টে আর বাকি ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায়। ব্যাংকটির মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় বদলে ফিলিপিন্সের ক্যাসিনোতে (জুয়া খেলার জায়গা) চলে যায় বেশির ভাগ অর্থ।

তবে হ্যাকারদের একটি বানান ভুলে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

পরে ফিলিপিন্সের সিনেটে শুনানির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনায় রিজাল ব্যাংককে ২০ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ পরিশোধ করলেও ব্যাংকটি বাংলাদেশকে বাকি অর্থ ফেরতে কোনো দায় নিতে রাজি নয়।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চুরি হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে সব ধরনের আইনি সহায়তা দিচ্ছে ফিলিপিন্স সরকার। একটি নির্দিষ্ট সময় পর যদি ওই অর্থ উদ্ধার না হয়, তবে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এসআর/এ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা একসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন
দাফনের ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উত্তোলন
X
Fresh