২৬৩ কোটি টাকায় আসবে ৫৫ হাজার টন চিনি
বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ ও ঘাটতি মেটাতে ৫৫ হাজার টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য সরকারের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৩ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ১৫০ টাকা।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের চিনি আমদানি সংক্রান্ত এ প্রস্তাবনা অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ৪৬৫.২৭ মার্কিন ডলার হিসেবে মেসার্স গ্লোবোপিউ ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেড সরবরাহের কাজ পেয়েছে।
সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের সহায়তায় এ চিনি সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনকে (বিএসএফআইসি) এক লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানির অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে মোতাবেক ৫০ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়।
বিএসএফআইসি সূত্র মতে, চলতি বছরের ২ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন চিনি মজুদ ছিল। এর মধ্যে সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ইত্যাদি রেশনের জন্য সংরক্ষতি রয়েছে ২০ হাজার ২০২ মেট্রিক টন। ফলে বিতরণযোগ্য চিনির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৬ হাজার ৩৬৪ মেট্রিক টনে। এ চিনি বাজার নিয়ন্ত্রণসহ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে সংস্থাটি
এছাড়া চলতি বছরের অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে আখ উৎপাদন ব্যাহত হবার আশঙ্কা করছে বিএসএফআইসি।
সভায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ডিজাইন ও তদারকির পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন