• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলাদেশে পানিপথে আসছে ভারতীয় গাড়ি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ অক্টোবর ২০১৭, ২১:১৩

ভারতের রপ্তানিকারকরা ইন্দো-বাংলা সীমান্ত দিয়ে যখন বাংলাদেশে পণ্য পাঠাতে নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে, তখন গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি অশোক লেল্যান্ড পানিপথকেই বেছে নিচ্ছে।

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক খবরে বলা হচ্ছে, ১৮৫টি ট্রাক বোঝাই কার্গো জাহাজ সম্প্রতি মোংলা বন্দরের উদ্দেশে চেন্নাই ছেড়েছে।

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে এটি বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থলপথে যা ২০ থেকে ২৫ দিন লেগে যেত।

খবরে বলা হয়, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে অশোক লেল্যান্ডের পণ্য রপ্তানি ১২ গুণ বেড়েছে। আগে যা ৫০০ ছিল, এখন তা ছয় হাজারে পৌঁছেছে।

অশোক লেল্যান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনোদ কে দাশারি বলেন, সীমান্ত দিয়ে পণ্য সরবরাহে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেজন্য পানিপথে পণ্য রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই পথে পণ্য রপ্তানি দূষণ ও ক্ষতি কমাবে বলে আশা করছি।

তবে তিনি সীমান্ত ইস্যু নিয়ে বাড়তি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

পেট্রাপোলের এক কর্মকর্তা জানান, পেট্রাপোল থেকে কলকাতা ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মোট স্থলবাণিজ্যের ৯০ শতাংশ এই বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে।

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের তথ্য মতে, পেট্রাপোল-বেনাপোল ভারত ও বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গেটওয়ে। এটাই পণ্য আনা-নেয়ার একমাত্র পথ। প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৩৫০টি ট্রাক এ সীমান্ত দিয়েই বাংলাদেশে প্রবেশ করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ৮০টি ট্রাক ভারতে যায়। এটিও আবার সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকে।

রপ্তানিকারকরা জানান, কমপক্ষে সাড়ে তিন হাজার ভারতীয় ট্রাক প্রতিদিন সীমান্ত পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকে। ফলে পার্কিংজনিত সমস্যায় ভুগতে হয়।ট্রাক পার্কিংয়ের জন্য একটা বড় খরচাও গুনতে হয়।

পেট্রাপোলের প্রায় সাত কিলোমিটার আগে বনগাঁও গ্রাম অবস্থিত। যেখানে রাস্তায় গাড়িগুলোকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

পেট্রাপোলে পার্কিং হওয়ার আগে এর মধ্যে দুই হাজার ট্রাককে ১০ দিন রাস্তায় কাটাতে হয়। গাড়ি রাখার জন্য এখানে সপ্তাহে চার হাজার রুপি পর্যন্ত গুনতে হয়।

সীমান্ত থেকে শেষ পাঁচ কিলোমিটার যেতে বড়জোর কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে। কিন্তু সেখানে গাড়িচালকদের ধৈর্য্য ধরে বসতে থাকতে হয় সাত থেকে ১০ দিন।

সময় নষ্ট ও পার্কিংয়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য এখন বিষাদে পরিণত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে অশোক লেল্যান্ড মনে করছে, পানিপথই তাদের স্বস্তি দিতে পারে। কার্গো করে পণ্য পরিবহনই তাদের জন্য কার্যকরী এবং নিরাপদ হবে।

কোম্পানিটির গাড়ি সরবরাহের কাজে নিযুক্ত এক কর্মকর্তা জানান, এই পথে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ খরচ বাঁচতে পারে।

২০১৫ সালে ভারত ও বাংলাদেশ পানিপথে কার্গো পরিবহনে একমত হয়।

ভারতের সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি বলেন, কার্গো পরিবহনের জন্য সরকার প্রথমত পানিপথকেই অগ্রাধিকার দিতে চায়। এরপর পর্যায়ক্রমে রেলপথ ও সড়কপথ।

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মোস্তাফিজ ইস্যুতে বিসিবিকে ধুয়ে দিলেন ভারতের সাবেক তারকা
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ শুরু 
পাবনায় ১২ ট্রাক ভারতীয় চিনি আটক
X
Fresh