• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজধানীতে ৮ বছরে ৬ ফ্লাইওভার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:২৯

রাজধানীর যানজট নিরসনে সাড়ে আট বছরে ছয়টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬২০ মিটার দীর্ঘ খিলগাঁও ফ্লাইওভার লুপ নির্মাণ করা হয়। যাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার হাজার ১৫৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভারের গুরুত্বপূর্ণ অংশের উদ্বোধন করবেন।

সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে একের পর এক যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, কুড়িল বহুমুখী ফ্লাইওভার, বিমানবন্দর-মিরপুর রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার, মিরপুর-বনানী ফ্লাইওভার এবং বনানী ওভারপাস, বিজয় সরণি-তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল সংযোগ সড়ক ও রেলওয়ে ওভারপাস এবং তেজগাঁও-মগবাজার-মৌচাক-শান্তিনগর ফ্লাইওভার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) অধীনে এসব ফ্লাইওভার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।

২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্পের বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। এটি মহানগরীর সবচেয়ে দীর্ঘ ফ্লাইওভার।

২০১৩ সালের ৪ আগস্ট জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় কুড়িল বহুমুখী ফ্লাইওভার প্রকল্পটি। ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে ব্যয় হয় প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা। ঢাকার সঙ্গে পূর্বাচল নতুন শহরের সংযোগ স্থাপন, বিমানবন্দর সড়ক ও প্রগতি সরণি সংযোগস্থলের যানজট হ্রাস এবং নগরীর উত্তর-পশ্চিম অংশের পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল রাজউক।

২০১৩ সালের ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দর থেকে সেনানিবাস হয়ে মিরপুর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন। চার লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারটি দৈর্ঘ্যে এক হাজার ৭৯৩ মিটার। ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন এ প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করেছে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশনের অধীনস্থ ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন।

২০১৩ সালের ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর-বনানী ফ্লাইওভার এবং বনানী ওভারপাস উদ্বোধন করেন। ৩৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ফ্লাইওভার ও ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পে ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৮৭৪ দশমিক ৩৬ মিটার, ওভারপাসের মোট দৈর্ঘ্য ৮১৪ দশমিক ৪৫ মিটার। সরকারের অর্থায়নে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের ১৬ ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।

২০১০ সালের ২০ এপ্রিল বিজয় সরণি-তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল সংযোগ সড়ক ও রেলওয়ে ওভারপাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক হাজার ১১৪ মিটার দীর্ঘ এই ওভারপাস নির্মাণে ব্যয় হয় ১১৪ কোটি টাকা। ঢাকা শহরের এয়ারপোর্ট রোডের পশ্চিমাংশ বিশেষ করে শেরে বাংলা নগর, মিরপুর, কলাবাগান, লালমাটিয়া ও ধানমন্ডি থেকে গুলশান, উত্তরা, বারিধারা ও এয়ারপোর্ট রোডের যাতায়াতকারী জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত অসহনীয় যানজট থেকে মুক্তি দিয়েছে এই ওভারপাসটি।

নয় কিলোমিটার দীর্ঘ মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত অংশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপির) মাধ্যমে ৩৪ কিলোমিটার এবং শান্তিনগর থেকে মাওয়া রোড পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল সেতু বিভাগের অধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক প্রকল্পের। এই প্রকল্পের অধীনে বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে।

এমসি/এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফ্লাইওভার থেকে ৫০ যাত্রী নিয়ে পড়ে গেল বাস, নিহত ৫ 
‘বিআরটি প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার’
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, আহত ৭
এক্সপ্রেসওয়ের ক্রেন থেকে কনটেইনার পড়ে শ্রমিক নিহত
X
Fresh