ভোলায় নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান
ভোলায় নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ মন্ত্রিসভাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, এ গ্যাসক্ষেত্রে সাত’শ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস থাকতে পারে।
শফিউল আলম বলেন, ভোলার শাহবাজপুরে আগের গ্যাসক্ষেত্রটির পাশেই এ গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। আগের কূপ ও নতুনটি মিলিয়ে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংস্থান সেখানে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি দেশের জন্য একটি সুসংবাদ।
ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রটি বেঙ্গল বেসিনভুক্ত এলাকায়। সেখানে যে ভূকাঠামোয় গ্যাস পাওয়া গেছে, তার ভূতাত্ত্বিক নাম ‘স্টেটিগ্রাফিক স্ট্রাকচার’। দেশের অন্য সব গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে সুরমা বেসিনে। এই বেসিনের ভূকাঠামোয় ভূতাত্ত্বিক নাম ‘অ্যান্টি ক্লেইন স্ট্রাকচার’।
ভোলায় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য প্রথমে দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালানো হয় ১৯৮৬-৮৭ সালে। তাতে গ্যাসের অবস্থান চিহ্নিত করার পর প্রথম অনুসন্ধান কূপটি খনন করা হয় ১৯৯৪ সালে। এরপর আরও তিনটি কূপ খনন করা হয়েছে। এই কূপগুলো থেকে বর্তমানে ভোলায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে (২২৫ ও ৩৫ মেগাওয়াট) গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া শিল্প ও আবাসিক গ্রাহকদেরও গ্যাস দেওয়া হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন