টানা বৃষ্টিতে ‘অচল’ রাজধানীর কাঁচাবাজার
স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই ঝরছে বৃষ্টি। তলিয়ে গেছে রাজধানীর অলিগলি থেকে রাজপথ। কিছু কিছু এলাকার সড়ক দিয়ে যেন এখন বইছে নদীর স্রোত। এই অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে রাজধানীর অধিকাংশ পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার পানির নিচে তলিয়ে গেছে; ছোট বাজারগুলোতে হাঁটুপানি।
এর ফলে একদিকে যেমন ক্রেতারা বাজার করতে পারছেন না, অন্যদিকে বিক্রেতারাও পড়েছেন বিপাকে। কোথাও কোথাও সবজি নষ্ট হচ্ছে। বাজারেও আসছে না পর্যাপ্ত তরি তরকারি।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর কাঁচাবাজার, কল্যাণপুর বাজার, যাত্রাবাড়ী এলাকা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে মহল্লার ছোট ছোট কাঁচাবাজারগুলো। তবে এই ঝুম বৃষ্টির মধ্যে ভ্যানে করে কয়েকজনকে ভিজতে ভিজতে সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। যেগুলো বিক্রি হচ্ছে তাও আবার দুই দিন আগে আনা।
দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় প্রায় হাঁটুপানি জমে গেছে। শুক্রবার থেকে সেখানে মাছ থেকে শুরু করে সবজির বেচাকেনা প্রায় বন্ধ। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। দোকানগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত পণ্য।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই বৃষ্টির ফলে অনেক তরকারি পচে গেছে। আর দুই একদিন এভাবে বৃষ্টি হলে কেনাবেচা প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। সরবরাহ কম থাকায় তরি তরকারির দাম আরো বাড়তে পারে। ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজারেরও একই অবস্থা। সেখানে প্রায় প্রত্যেকটি দোকানে পানি ঢুকেছে। বৃষ্টি বেগ থামাতে পারছে না মাথার উপর পলিথিনও। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় বাজারে তরকারি কম। তাই দামও চড়া।
কল্যাণপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলছেন, এখানে পানি জমেনি। তবে তরি তরকারি কম এসেছে। বৃষ্টিতে শুক্রবার বাজার করতে পারিনি। কিন্তু শনিবার তার চেয়েও বেশি বৃষ্টি। ঘরে কোনো তরকারি নেই। ফলে দুই দিন আগে আসা সবজিই কিনতে হচ্ছে, দামও গতদিনের চেয়ে বেশি।
রাজধানীর রায়েরবাগের মেরাজনগরের রাস্তায় এখন হাঁটু পানি। এই পানিতে ভ্যানে করে তরকারি বিক্রি করছেন রহিম গাজী। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি দিয়ে তো আর পেট চলবে না। পেট বাঁচাতে হলে রাস্তায় নামতে হবে। তাই গত দিনের তরকারি নিয়ে ভ্যান টানতে হচ্ছে’।
এসআর/জেবি
মন্তব্য করুন