‘২০১৮ সালের নভেম্বরের পর থাকবে না অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স’
২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে। তবে কেউ কারখানা নিয়ে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখবে মন্ত্রণালয়। এরপরে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স বাংলাদেশে থাকবে না। বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসে এক হাজারের বেশি পোশাকশ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনার পর পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে এ দুই জোট গঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়ানোর এ তথ্য জানানো হয়।
উভয় জোটই পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ, যা আগামী বছরের মাঝামাঝিতে শেষ হবে। অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের পর কার্যক্রম গোটাতে তারা সর্বোচ্চ ছয় মাস থাকবে। তবে অ্যাকর্ড ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ২০২১ সালের ৩১ মে পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে তারা।
এ জন্য গত সোমবার বিজিএমইএ ভবনে অ্যাকর্ড প্রতিনিধিরা পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওই সময় বিজিএমই সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মেয়াদের পর কার্যক্রম চালাতে হলে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সকে বিজিএমইএ’র সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে হবে। এ সময় স্বপক্ষে সমন্বয় মনিটরিং কমিটি করারও প্রস্তাব দেন তিনি।
এর আগে রোববার অ্যাকর্ডের কার্যক্রমের মেয়াদ অনুমোদন ছাড়া আরো তিন বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করার আদেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের অনুমোদন না নিয়ে মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
আগামী বছরের মে মাসে বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের পাঁচ বছরের কার্যক্রমের মেয়াদ পূর্ণ হবে।
এমসি/এসআর
মন্তব্য করুন