• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অবৈধ চাল মজুতে শাস্তি পেলো যারা

মিথুন চৌধুরী

  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৩

অবৈধ চাল মজুতদারদের ধরতে সারাদেশে সব চালের গুদামে অভিযান চালাচ্ছে সরকার। এতে অবৈধ মজুতদাররা নড়ে চড়ে বসেছে। ফলে কমতে শুরু করেছে চালের দাম।

শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মোটা স্বর্ণা চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গেলো বুধবার পর্যন্ত ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়। বিআর আটাশ চাল ৫০-৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গেলো বুধবার পর্যন্ত ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। বাসমতী চাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গেলো বুধবার পর্যন্ত ছিল ৭২ থেকে ৭৪ টাকা। নাজির চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গেলো বুধবার পর্যন্ত ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

এদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অবৈধভাবে চাল মজুতের বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকের পরপরেই বাণিজ্যমন্ত্রী সারাদেশে চালের গুদামে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে অভিযানে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে অবৈধ মজুতদারদের জেল, জরিমানা, মামলা ও চাল জব্দ করেন আদালত।

অভিযানে জেল জরিমানা পাওয়া মজুতদাররা :

মন্ত্রীর নির্দেশের পর ধান-চাল মজুতের অপরাধ ও চালের বস্তায় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় গাজী অটো রাইস মিল ও রশিদ অটো রাইস মিলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সংগ্রহ অভিযানে ১৬৫টি মিলের মালিক চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি না করায় ১৯ সেপ্টেম্বর মিলগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ।

অবৈধ চাল মজুতের অভিযোগে ১৮ সেপ্টেম্বর নাটোরে গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজারে চারটি চালকলের মালিককে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। এরমধ্যে চাঁচকৈড় বাজারের সততা ট্রেডার্সের মালিক রায়হান উদ্দিনকে ৭০ হাজার টাকা, চৌধুরী ট্রেডার্সের মালিক কিশোর কুমার চৌধুরীকে ৫০ হাজার টাকা, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে ৫০ হাজার টাকা ও কে এম ট্রেডার্সের মালিক আলমগীর কবিরকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আদালত।

একই দিনে রাজশাহী শহরে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে ধান-চাল মজুতের দায়ে নগরের ২ ব্যবসায়ীকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুব্রত পাল। এর মধ্যে হামিম অ্যাগ্রো ফুড লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা ও আসলাম রাইস মিলসকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। অভিযানে হামিম অ্যাগ্রো ফুড লিমিটেডে ৪ হাজার ২৯ বস্তা, আসলাম রাইস মিলসে ১ হাজার ২৮৫ বস্তা ধান ও ১০০ বস্তা চাল পায় আদালত। এছাড়া একই দিনে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে চাল মজুতের দায়ে চাল ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন খানকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধ মজুতের দায়ে ১৬শ ডিলারকে এরই মধ্যে কালো তালিকাভুক্ত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয় ।

কতটুকু চাল রাখা যাবে :

খাদ্যশস্য কতদিন, কতটুকু মজুত রাখা যাবে তা নির্ধারণ করে ২০১১ সালের ৪ মে গেজেট জারি করে সরকারের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।

সে হিসাবে আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং চালকল মালিকরা সরকার নির্ধারিত হারে ধান ও চাল নির্ধারিত সময়ের জন্য মজুত করতে পারবেন।

অবৈধ মজুতে শাস্তি :

বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মজুতদারি নিষিদ্ধ করে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে মজুতদারি বা কালোবাজারির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাদণ্ড। অপরাধের মাত্রা ভেদে অন্যান্য মেয়াদের কারাদণ্ড ও জরিমানাও করার কথা উল্লেখ রয়েছে।

এমসি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় সারাদেশে প্রস্তুত হাসপাতালগুলো’
সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত
৭ ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের রেল চলাচল শুরু
রংপুরের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
X
Fresh