প্লাস্টিক মোড়কে চাল আমদানি করা গেলেও দেশে ব্যবহারে মানা
চাল আমদানিতে পাটের বস্তা ব্যবহারে বাধ্যবাধকতায় তিন মাসের শিথিলতা দেয়া হয়েছে। তবে প্যাকেটজাত চালের ক্ষেত্রে মোড়ক আইন শতভাগ বহাল থাকবে। আমদানি করা চালের বস্তায় আমদানিকৃত সিল থাকতে হবে। এ সিল থাকলে ক্রেতারা প্লাস্টিকের বস্তা ঘর পর্যন্ত নিতে পারবেন। কোথাও কেউ আটকাবে না। জানালেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
মির্জা আজম বলেন, অটো রাইস মিল মালিকদের প্লাস্টিক বস্তা তৈরির ফ্যাক্টরি রয়েছে। তারা অবৈধভাবে প্লাস্টিক বস্তা তৈরি করেন। যা আমাদের পরিবেশ ও পাট শিল্পকে ধ্বংস করে। তবে ১৭টি পণ্যে পাট বস্তা ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করায় অনেকগুলো কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে যে ১৭টি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন রয়েছে তা বলবৎ থাকবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চটের ব্যাগ ব্যবহার না করলে চালের দাম প্রতি কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা কমবে বলে চাল ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীদের বুঝিয়েছেন। কিন্তু এটা মিথ্যা কথা। চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারে চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা কমতে পারে। কারণ আমরা একটি চটের বস্তা বিক্রি করি ৪৪ টাকায়। এ বস্তা একবার ব্যবহার করে বিক্রি করলেও অন্তত ২০ টাকা দাম পাওয়া যাবে। ফলে চটের বস্তায় খরচ হয় ২৪ টাকা। আর একটি প্লাস্টিকের বস্তায় খরচ হয় ২৫ টাকা। এ বস্তা একবারের বেশি ব্যবহার করা যায় না। সুতরাং প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা কিভাবে চালের দাম কমাবেন? তারপরও যদি পাটের বস্তার জন্য চালের দাম বাড়ে সেটা খুব বাড়লে প্রতিকেজিতে ৫০ পয়সা বাড়ত। কিন্তু দাম তো বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে চান কারণ এটা তৈরির কাঁচামাল আমদানি শুল্কমুক্ত। এ কাঁচামাল ব্যবহার করে অন্যান্য খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করার কথা। অথচ সেটা না করে চালের ব্যাগ তৈরি করছেন তারা। সুতরাং প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি করে তারা সরকারের দেওয়া শর্ত ভঙ্গ করছেন। ব্যবসায়ীরা যে যুক্তি দিয়েছেন সে বিষয়ে মন্ত্রীরা বিস্তারিত জানেন না।
এমসি/এমকে
মন্তব্য করুন