• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ১০ থেকে ১১ শতাংশ : অর্থমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ আগস্ট ২০১৭, ২৩:২৩

সমগ্র ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ১০ থেকে ১১ শতাংশ। সেখানে সরকারি ব্যাংকের ২৭ শতাংশ। এতে আমার লজ্জা লাগে। বললেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের অবস্থা পর্যালোচনা : চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যখন একজন গ্রাহককে ঋণ দেয়া হয় তখন থেকেই ব্যাংকিং সিস্টেমে একটি ধারণা চালু হয়ে যায় এ ব্যাটাকে যে করেই হোক ডিফলটার বানাতে হবে। এর জন্য ব্যাংকাররা যা যা করার সবই করেন। এক সময় ওই গ্রাহক খেলাপি হয়ে যায়। এভাবে ভালো ভালো প্রকল্পে ঋণ দেয়া হয়। কিন্তু ঋণটা এমনভাবে দেয়া হয় যেন গ্রাহক খেলাপি হয়ে যান। প্রত্যেক ব্যাংকারই এটা চান। কেননা ওই ব্যাংকার মনে করে খেলাপি হলে গ্রাহক আমার কব্জার মধ্যে চলে আসবে। এটা (ব্যাংকারদের) সবার পরিহার করা দরকার।

মন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে হবে। অবলোপনের মাধ্যমে যেসব খেলাপি ঋণ ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তা আদায়ের দায়িত্ব ব্যাংকের। ব্যাংকের সব কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হতে হবে। কোনো কেরানি ব্যাংকে দরকার নেই। কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

কর্মশালায় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে দুর্নীতির তুলনায় অপচয় বেশি হয়েছে। ব্যক্তিগত অপচয়, প্রাতিষ্ঠানিক অপচয় ও ঐতিহ্যগত অপচয় হয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে।

এছাড়া কর্মশালায় বিভিন্ন বক্তারা বলেন, গেলো চার বছরের জাতীয় বাজেট থেকে এসব ব্যাংকে সরকার নয় হাজার ৬৩৯ কোটি টাকার মূলধন যোগান দিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকাই দেয়া হয়েছে সোনালী এবং বেসিক ব্যাংককে। এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপিই সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক। প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। শুধু তাই নয় এই ব্যাংকগুলোর ধারাবাহিকভাবে মুনাফার পরিমাণ কমেছে টানা চার বছর। এমন কি রূপালী, বেসিক, রাকাব এবং বিকেবি সর্বশেষ গত বছর লোকসান গুনেছে। ঋণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে দুদকের পক্ষ থেকে সাত দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালনা পর্ষদ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না-সে বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেবার মানের বিষয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে প্রবন্ধে। এতে বলা ১৭টি সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে।

কর্মশালায় অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৮ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিরা উপস্থিত ছিলেন।

এমসি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী : অর্থমন্ত্রী
সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী
অর্থনৈতিক সংকট কেটে গেছে : অর্থমন্ত্রী
ড. ইউনূসের গোমর ফাঁস করেছিলেন বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান
X
Fresh