• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাইকারি বাজার পেরুলেই দাম বাড়ে ১০-২০ টাকা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৮ জুলাই ২০১৭, ১৩:৩৫

পাইকারি কাঁচাবাজার পেরুলেই পণ্যের দাম কেজিতে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। শুধু তাই নয়, আড়ৎ থেকে পাইকারি বাজারে পণ্য গেলে কেজিতে বেড়ে যাচ্ছে ৫ টাকা। আর তার মাশুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী, সেগুনবাগিচার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ক্রেতাদের দাবি, বাজার মনিটরিংয়ে না থাকায় ব্যবসায়ীরা যার যেমন ইচ্ছা দাম হাঁকাচ্ছেন।

মূলত বাজার তদারকির অভাবে আড়ৎদার ও পাইকাররা খেয়াল-খুশিমতো কাঁচা পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। একাধিক পাইকার ও আড়ৎদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেদিন রাজধানীর পাইকারি বাজারে পণ্য কম আসে; সেদিন দাম বেড়ে যায়। বেশি এলে দাম কমে যায়। তবে উৎসবকে কেন্দ্র করেও অনেক সময় পণ্যের দাম বাড়ে।

রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ী। সেখানে প্রতি রাতে লাখ লাখ টন কাঁচা পণ্য ও মাছ আসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। ঠিক মধ্যরাত থেকে বসে পাইকার ও আড়ৎদারদের পণ্যের হাট। তাদের থেকে রাজধানীর বেশিরভাগ কাঁচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা পণ্য কিনে নিয়ে যায়। পরে পরিবহন ও আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এ হার ১০ থেকে ২০ টাকা।

পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে তা হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কচুর লতি পাইকারি বাজারে কেজিতে ২৫ টাকায় হলেও খুচরা বাজারে হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ২০ টাকায় হলেও খুচরা বাজারে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ২০ থেকে ২৫ টাকায় হলেও খুচরা বাজারে হচ্ছে কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচুর মুখী ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আলু ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

প্রায় ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে খুচরা বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৩৫ টাকা; পালং শাক আঁটি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা; লালশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা; পুঁইশাক ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং লাউশাক ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। কেজিতে দেশি মুরগির দাম বেড়েছে আগের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০ টাকা।

গরুর মাংসের দাম আগে থেকেই চড়া। বর্তমানে খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে।

খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি লবণ ৪২ টাকা; দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৬-২৮ টাকা, দেশি রসুন ১০৩-১০৫ টাকা, ভারতীয় রসুন ১১২-১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ দরে, শুকনো মরিচ হচ্ছে ১৮০-১৮৪ দরে এবং হলুদ হচ্ছে ১৯০-১৯৪ টাকা দামে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে ৫ টাকার ওপরে। মোটা স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪৮ টাকা, পারিজা ৪৬ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৫০-৫২ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫৪-৫৬ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫৮-৬০ টাকা, পাইজাম চাল ৫০-৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাছের দামও বাড়তি। কেজি প্রতি সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, প্রকারভেদে চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কমেছে হালি প্রতি ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি ৩০-৩২ ও হাঁসের ডিম ৪০-৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা হালি দরে।

এমসি/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এক দিনের ব্যবধানে আরও কমলো স্বর্ণের দাম
গাজীপুরে তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ড
৪০০ সিসির পালসার বাজারে আসার আগেই ফাঁস হলো দাম
স্বর্ণের দাম আরও কমলো
X
Fresh