• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কলকাতায় বাংলাদেশিদের ঈদ শপিং হাজার কোটি টাকা

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২১ জুন ২০১৭, ১২:২৪

ঈদুল ফিতরে শপিং করতে বাংলাদেশ থেকে প্রায় দেড়লাখ মানুষ যান ভারতে, বিশেষ করে কলকাতায়৷ ব্যবসায়ী নেতাদের হিসেব মতে, এজন্য তারা প্রায় খরচ করেন ১২শ’ কোটি টাকারও বেশি। বিষয়টি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
রেহনুমা রোজ একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি কলকাতায় ঈদের শপিং করে দেশে ফিরেছেন। জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে রেহনুমা বলেন, শুধু আমি না৷ আমার মতো আরো অনেকেই ঈদের শপিং করেন ভারতে৷ কলকাতার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের ক্রেতাদের টার্গেট করে ঈদের বাজারে নতুন ডিজাইনের অনেক পোশাক এবং পণ্যও আনেন৷

বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে শপিং করলে লাভ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে রেহনুমা বলেন, তুলনামূলকভাবে কলকাতায় পোশাকসহ সব পণ্যের দাম কম৷ মান এবং ডিজাইন ভালো৷

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশেও ভালো ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যায়৷ তবে ওদের ওখানে আগে আসে৷ ওদের ডিজাইন দেখেই আবার এখানে করা হয়৷ কলকাতায় ঈদের সময় বাংলাদেশি ক্রেতাদের টার্গেট করে নতুন ডিজাইনের পোশাক, জুতা, গয়না আসে বাজারে৷ রেহনুমা জানান, ঈদের সময় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ক্রেতা তো যানই, এছাড়া সারা বছরই বাংলাদেশের ক্রেতা থাকে ভারতের বাজারে৷

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হেলাল উদ্দিন এবিষয়ে বলেন, প্রতি রোজার ঈদে বাংলাদেশের লোকজন কম-বেশি ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার শপিং করেন ভারতে৷ দেড়লাখের মতো লোক ভারতে যান ঈদ শপিং করতে৷ তারা গড়ে ১ হাজার ডলারের কম খরচ করেন না৷ সেই হিসেবে এটা হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়৷ এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর৷ দেশের ব্যবস-বাণিজ্যের জন্য ক্ষতি৷ দুই ঈদের হিসাব করলে অংকটি আরো বড়৷

তিনি আরো বলেন, ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বৈধভাবে নেয়া যায়। তাই এই টাকা বৈধভাবেই যায়৷ আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে৷ দেশীয় পণ্যের মান বাড়াতে হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক সহনীয় দামে পণ্য বিক্রি করতে হবে৷ তা না হলে ভারতমূখিতা কমানো যাবে না৷

ঈদকে সামনে রেখে ভারতীয় হাই-কমিশন গেলো বছরে অতিরিক্ত ১ লাখ ভিসা দিয়েছিল৷ এবার এই ভিসার পরিমাণ এরই মধ্যে এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা যায়৷ বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদের একাংশ ঈদের শপিং করতে বিমানে যান৷ তবে বড় অংশ ভারতে যান সড়ক পথে৷

বাংলাদেশিদের কারণে কলকাতার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা মীর্জা গালিব স্ট্রিট, মল্লিকবাজার, বেলগাছিয়া, নিউমার্কেট, চিৎপুর, টালিগঞ্জ, এন্টালি, আনোয়ার শাহ রোড, রাজাবাজার, পার্ক সার্কাস, মেটিয়াবুরুজ, খিদিরপুর, পার্ক স্ট্রিট, চিৎপুরের জাকারিয়া স্ট্রিট, ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদ চত্বর এখন জমজমাট। এসব এলাকায় ইতিমধ্যে বসে গেছে ঈদের জমজমাট বাজার৷

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh