• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যে সব খাতে ভ্যাট প্রত্যাহার হতে পারে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০১ জুন ২০১৭, ১১:৫৯

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাব দেবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটি তার ১১তম বাজেট পেশ। স্বাধীনতার পর এটি হবে দেশের ৪৬তম বাজেট। আর অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুহিতের টানা নবম বাজেট। যার রেকর্ড উপমহাদেশের আর কোনো অর্থমন্ত্রীর নেই।

এবারের বাজেটের আকার হতে পারে ৪ লাখ ২শ’ ৬৬ কোটি টাকা। যা গেলো বারের চেয়ে প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। আর এতে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা গেলো বারের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি ধরা হয়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে গেলো বারের চেয়ে কিছু পরিবর্তন থাকছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাতের ভ্যাট প্রত্যাহার। ব্যবসায়ীদের জোরালো দাবি থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১৫ শতাংশই থাকছে ভ্যাটের একক হার।

নতুন ভ্যাট আইনে ১৪শ’ পণ্য ও সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক রাখা হচ্ছে। মৌলিক খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গণপরিবহন, চিকিৎসা ও শিক্ষা, কৃষি, মৎস্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাতের এক হাজার ৮শ’ ৭৪টি পণ্য ও সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি থাকছে।

নতুন করে যেসব পণ্য ও সেবা ভ্যাট অব্যাহতির তালিকায় আসছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হালকা প্রকৌশল খাতে মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর ও শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) সংযোজন শিল্প, ভোজ্যতেল, সফটওয়্যার শিল্প, বাস-ট্রেন-লঞ্চের টিকিট প্রভৃতি।

এছাড়াও ভালো সংবাদ আছে দেশীয় সফটওয়ার শিল্পের জন্য। দেশে তৈরি সফটওয়ার কিনলে বর্তমানে যে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয় তাও প্রত্যাহার হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, দেশীয় সফটওয়ার শিল্পের সব ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট থাকছে না নতুন অর্থবছরে।

এবারের বাজেটে সুখবর আছে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য। নতুন অর্থবছরে ছোট আকারের ফ্ল্যাটের দাম কমতে পারে। ৭৫০ বর্গফুটের কম আয়তনের ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে দেড় শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হতে পারে। এছাড়াও জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় যে ভ্যাট দিতে হয় সেটিও বাদ দেয়া হচ্ছে।

ভোজ্য তেল আমদানি, সরবরাহ ও বিক্রির ক্ষেত্রে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেয়া হতো এবারের বাজেটে সেটি বাদ দেয়া হতে পারে। তাহলে দাম কমবে ভোজ্য তেলের।

এছাড়াও ভ্যাট থাকছে না হার্টের রোগীদের রিং পরানো, কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস এবং কৃত্রিম কিডনি, রক্তের ব্যাগসহ জীবন রক্ষাকারী বেশ কিছু ওষুধে।

নতুন অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা ও সারচার্জভুক্ত আয়করের সম্পদ সীমা বাড়ানো হচ্ছে। ব্যক্তি শ্রেণীর বর্তমান করমুক্ত আয় আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পৌনে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে।

আর আয়করের সারচার্জের ক্ষেত্রে সম্পদের সীমা সোয়া ২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে আড়াই কোটি টাকা করা হতে পারে। বর্তমানে সোয়া ২ কোটি টাকার সম্পদ থাকলে আয়করের ১০ শতাংশ সারচার্জ দিতে হয়।

এছাড়াও ব্যবসায় লেনদেনের ভ্যাটমুক্ত পরিধি বাড়ছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বছরে ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হলে তাকে ভ্যাট দিতে হবে না। বর্তমানে এই সীমা ৩০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে বাড়ছে টার্নওভার করের পরিধি। ১ কোটি ২০ লাখ থেকে তা বেড়ে দেড় কোটি টাকা করা হতে পারে নতুন বাজেটে।

এইচটি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh