• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাজারে রমজান সামগ্রীর দাম টিসিবি থেকে ৩০ শতাংশ বেশি

মিথুন চৌধুরী

  ১৯ মে ২০১৭, ১৮:৩৩

রোজা শুরু হতে ১০ দিনও বাকি নেই। চাঁদের উপর নির্ভর করছে দিনক্ষণ। সিয়াম সাধনার এ মাসে বাড়তি আয়োজন থাকে রোজদারদের মাঝে। আর এ বাড়তি আয়োজনকে পূঁজি করে প্রতি রোজাতেই ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা করা চেষ্টা করে। অসাধু ব্যবসায়ীদের এ প্রতিযোগিতা প্রভাব ইতোমধ্যেই বাজারে পড়তে শুরু করেছে। কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টিসিবির দেয়া দামের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে রমজান সামগ্রী।

এর মধ্যে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ধরে, যা টিসিবি বিক্রি করছে ৫৫ টাকা, মাঝারি সাইজের মশুর ডাল বিক্রি করছেন ৯০ থেকে ১শ টাকা, যা টিসিবি বিক্রি করছে ৮০ টাকা, প্রতি কেজি খেজুর ১২০ থেকে ২৫০ টাকা, যা টিসিবি বিক্রি করছে ১২০ টাকা, ৫ লিটার বোতল সয়াবিন তেল ৪৯০ থেকে ৫২০ টাকা, যা টিসিবি বিক্রি করছে ৪২৫ টাকা(৮৫ টাকা ধরে)।

মশলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, দেশি রসুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৩০, আমদানি রসুন প্রতি কেজি ২২৫ থেকে ২৪০ টাকা, শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, হলুদ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, আমদানি করা আদা মানভেদে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ১১০ টাকা, মানভেদে প্রতি কেজি লবন ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাংসের বাজারে দেখা যায়, গরু প্রতি কেজি ৪৯০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, দেশি মুরগী প্রতি কেজি ৩৭০ থেকে ৪০০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১,২০০ টাকা, পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা, প্রতি হালি ডিম ২৬ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি নাজির ৫০ থেকে ৫৬ টাকা, প্রতি কেজি পাইজাম ৪৫ থেকে ৪৮, প্রতিকেজি লতা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিকেজি স্বর্ণা ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, প্রতি কেজি মোটা চাল ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

ভোজ্য তেলও আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আজকের বাজারে ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৬ টাকা। লবণের কেজি ৩৮ টাকা; দারুচিনি ৩৬০ টাকা; জিরা ৪৫০ টাকা; শুকনা মরিচ ২০০ টাকা; লবঙ্গ ১৫০০ টাকা; এলাচ ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো কেজি ৫০ টাকা, সাদা বেগুন ৫০-৬০ টাকা, কালো বেগুন ৬০ টাকা, শশা ৪৫-৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৪৫ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক আঁটি প্রতি ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গেলো ১৫ মে থেকে টিসিবি ট্রাক থেকে জনপ্রতি ৫৫ টাকা দরে ৪ কেজি চিনি, ৮০ টাকা ধরে ৩ কেজি মশুর ডাল, ৮৫ টাকা ধরে ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ৭০ টাকা ধরে ৫ কেজি ছোলা, ১২০ টাকা ধরে ১ কেজি খেজুর কিনছেন ভোক্তারা।

সারাদেশে ২ হাজার ৮১১ জন পরিবেশক ১৮৫টি ট্রাকের মাধ্যমে এ ৬টি পণ্য বিক্রি করছেন। এরমধ্যে রাজধানীতে ৩৩টি, চট্টগ্রামে ১০টি, অন্য বিভাগীয় শহরে ৫টি করে এবং অন্য জেলা শহরগুলোতে ২টি করে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

ক্রেতারা এ অবস্থায় মজুদদারি ঠেকাতে রমজানের আগেই বাজার মনিটরিংয়ের সুপারিশ করেছেন। অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতেরও দাবি জানান তারা।

কয়েকজন ক্রেতা আরটিভি অনলাইনকে বলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানের আগেই অতিরিক্ত মুনাফা তুলে নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে সরকারের এমন হুমকি-ধামকির মুখে ব্যবসায়ীরা আগেই ধাপে ধাপে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে দাম বাড়ার পেছনে বিক্রেতারাও নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন।

এমসি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh