• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শেয়ারবাজারে পতনের সুর, লোকসানে বিনিয়োগকারীরা

মিথুন চৌধুরী

  ২২ এপ্রিল ২০১৭, ১৬:৪২

নিত্যদিন কমছে লেনদেন ও মূল্য সূচক। দুই হাজার কোটি টাকার লেনদেন কমতে কমতে গেলো বৃহস্পতিবার ঠেকেছে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে। লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫৫৮ কোটি টাকার শেয়ার, যা গেলো সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগের সর্বনিম্ন প্রায় ৫৫৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল গেল বছরের ৯ নভেম্বর।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশীদ চৌধুরী বলেন, যে হারে সূচকের উত্থান হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে পড়ছে। পাশাপাশি সব খাতেই বিদ্যমান রয়েছে পতনের সুর। এভাবে সূচক পতনে বিনিয়োগকারীরা লোকসান ঠেকাতে শেয়ার বিক্রি করছেন, তেমনি অনেকে নতুন করে বিনিয়োগে আস্থা পাচ্ছেন না।

১২ ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন অবস্থান ৫৫২০ পয়েন্টে নামে। অর্থাৎ সর্বশেষ ১২ কার্যদিবসে সূচক কমেছে ২৭৬ পয়েন্ট বা পৌনে ৫ শতাংশ। এ অবস্থায় শেয়ার দর, সূচক ও লেনদেন হ্রাসের এ ধারা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকবে, এটাই এখনকার প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের। অনেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স, শরিয়াহ ও ডিএসই ৩০ সূচক কমেছে। একইসঙ্গে আর্থিক লেনদেন ও বাজার মূলধন কমেছে। এ ছাড়া বেশি সংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৪ পয়েন্ট বা ২.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬৪৬ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই ৩০ সূচক কমেছে ৩৭ পয়েন্ট বা ১.৭৭ শতাংশ ও ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ২৩ পয়েন্ট বা ১.৭৫ শতাংশ কমেছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স ৯১ পয়েন্ট বা ১.৫৮ শতাংশ কমেছিল।

গেলো সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টি বা ২২.৮৯ শতাংশ কোম্পানির। আর দর কমেছে ২৩১টি বা ৬৭.৫৮ শতাংশ কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি বা ৭.৫৩ শতাংশ কোম্পানির। আর সপ্তাহজুড়ে মোট ৩ হাজার ৪৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪.৪৬ শতাংশ।

এ সময় সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৫.৫৩ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.৯৮ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ০.৯৪ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৫৫ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১.২৬ শতাংশ।

এদিকে, দেশের অপর চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৫১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক কমেছে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।

এর আগের সপ্তাহে সিএসই প্রধান সূচক সিএসইএক্স কমেছিল ১৯৩.৪৬ পয়েন্ট বা ১.৭৯ শতাংশ। আর সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছিল ২৪১ কোটি ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৫৬ টাকার শেয়ার।

গেল সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ৭ কোম্পানি। এগুলো হলো; সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, বিডি ফাইন্যান্স, ব্যাংক এশিয়া, এক্সিম ব্যাংক এবং ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

এমসি/এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh