• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সিন্ডিকেটে জিম্মি রাজধানীবাসী

মিথুন চৌধুরী

  ৩১ মার্চ ২০১৭, ১৮:৩১

নানা অজুহাতে নিত্যদিন ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ কানে না তুলে উল্টো প্রশাসন সিন্ডিকেটকে উস্কানি দিচ্ছে। ফলে নিত্যপণ্যের দর হু হু করে বাড়ছে। না হলে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বাজারগুলোতেও এমন হাল হবে কেনো? এভাবেই বলছিলেন হাতিরপুলে বাজার করতে আসা শাহানা আক্তার।

তিনি বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত আয়কর বাড়াচ্ছে, গ্যাসের দাম বাড়ছে। সঙ্গে এভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ না খেয়ে মরবে।

শুধু শাহানা নয়, তার মতো অনেক ক্রেতা এভাবেই ক্ষোভ জানান।

ক্রেতাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সবজি বিক্রেতা নুরে আলম বলেন, আমরা কি করবো কন, মালের দাম বাড়তি। আমি সবজি বেচি। মাছ, মুরগি আমারও কিইন্ন্যা খাইতে অয়। তহন আমি অগো লাইগা ক্রেতা অই। আসলে এইডা পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটে অই। অরা মালের দাম ঠিক কইরা দেয়। মার্কেট বইরা আমগো কাছে তেমনে মাল বেচে পাইকাররা। আমরা কেজি প্রতি ২ টাকা বাড়াইয়া বেচি। এইডা আমগো লাভ। তবে শুক্রবার আর শনিবার ছুটির দিনে মালের দাম আরো বাড়তি দিয়া কিইন্ন্যা বেচতে অয়।

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গেলো সপ্তাহের মতো মাংস ও সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

হাতিরপুল ও কাওরান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০, পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা।

প্রতি কেজি টমেটো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, সাদা বেগুন ৬০ টাকা, কালো বেগুন ৫০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, চালকুমড়া ১৫ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুর মুখী ৭০ টাকা, আলু ১৮ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২৫ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া শশা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ২০ টাকা, লেবু হালি প্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা। পালং শাক আঁটি প্রতি ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২০০-৩০০ টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৩০-১৮০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০-৪০০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ডভেদে সয়াবিন তেল ৪৯৫ থেকে ৫০০ টাকা, প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ৯৮ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেজি প্রতি মসুর ডাল ১৩০ টাকা ও ভারতীয় ১০০ টাকা, মুগ ডাল দেশি ১২০ টাকা ও ভারতীয় ১১০ টাকা, মাসকলাই ১৩৫ টাকা এবং ছোলার ডাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২২-২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে রসুন ৯০ থেকে ১৫০ টাকা, মানভেদে আদা ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট ৫০-৫৩ টাকা, মিনিকেট নরমাল ৪৮ টাকা, বিআর২৮ ৪২-৪৪ টাকা, নাজিরশাইল ৪২-৪৮ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, স্বর্ণা ৪০ টাকা, পারিজা ৪০-৪১ টাকা, কাটারিভোগ ৭৪-৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এমসি/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh