ভাঙতেই হবে বিজিএমইএ ভবন

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বহুতল ভবন ভাঙতে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের রিভিউ খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। বিজিএমইএ অন্যত্র সরাতে কতো দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আসছে বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি আবেদন দিতে বলেছেন আদালত। ওই দিন আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন।

এর আগে গেলো ২৭ ফেব্রুয়ারি বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে দেয়া রায় রিভিউ চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগ। কিন্তু শুনানি মুলতবি চেয়ে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত তা আমলে নিয়ে শুনানি মুলতবি করে বলেন, নট টু ডে।

আদালত আরো বলেন, বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ তাদের ভবন নিজেরা না ভাঙ্গলে আদালত রাজউক'কে নির্দেশ দিয়েছে এ ভবন ভাঙ্গার জন্য। রাজউক তার কাজ করবে।

গেলো বছরের ৮ ডিসেম্বর ভবন ভাঙতে দেয়া রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন বিজিএমইএ। আবেদনে আপিল বিভাগের রায় স্থগিত করে বহুতল ভবনটি ভাঙতে তিন বছরের সময় চাওয়া হয়।

গেলো ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়। রায়ে বলা হয়, অবিলম্বে ভাঙ্গতেই হবে এই বহুতল অবৈধ ভবন। ভবন ভাঙ্গার যাবতীয় খরচ বিজিএমইএকেই বহন করতে হবে। তারা না ভাঙ্গলে রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এ জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা বিজিএমইএর কাছ থেকে নিতে বলা হয়েছে। বিজিএমইএর লিভ টু আপিল খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট ভূমির মালিকানা স্বত্ব না থাকা এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করেন।

ওয়াই/এসএস