• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
সুইডেনের রাজকন্যাকে বরণে প্রস্তুত খুলনা
বিয়ের তিন দিন আগে বিএনপি নেতার মেয়েকে নিয়ে উধাও ছাত্রলীগ নেতা!
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বেড়বাড়াদী গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে ও হরিনারায়নপুর দোয়ারকাদাস আগরওয়ালা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ আরা প্রাপ্তির বুধবার (২০ মার্চ) বিয়ের কথা ছিল। বিয়ের তিন দিন আগে রোববার (১৮ মার্চ) তাকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন আদিপুজ্জামান সংগ্রাম নামে ছাত্রলীগ নেতা। সংগ্রাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণীর বড় ভাই আসিফ করিম প্রাপ্তি। ঘটনার পর কুষ্টিয়াজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।  জানা গেছে, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকার বেড়বাড়াদী গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে ও হরিনারায়নপুর দোয়ারকাদাস আগরওয়ালা মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহনাজ আরা প্রাপ্তি রোববার দুপুরে হরিনারায়নপুর বাজারে যান কেনা কাটা করতে। কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বেড়বাড়াদী এলাকা থেকে হরিনারায়নপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রাম কলেজছাত্রী প্রাপ্তিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তার ওই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রামসহ কয়েকজন প্রাপ্তিকে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে যায়।  এ বিষয়ে কলেজছাত্রী প্রাপ্তির বড় ভাই আসিফ করিম প্রাপ্ত জানান, ছাত্রলীগ নেতা সংগ্রাম প্রায়ই তার বোন প্রাপ্তিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া দিতো না বোন প্রাপ্তি। রোববার দুপুরে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে প্রাপ্তি। তাই জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় প্রাপ্তিকে। এ ঘটনায় ইবি থানায় সংগ্রাম ও তার বাবা আজগর আলী এবং একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সোহানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।  অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে পুলিশ বোনকে উদ্ধারে চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় পুলিশ সংগ্রামের বাবা আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান প্রাপ্ত।  এ বিষয়ে ইবি থানার ওসি মোহাম্মদ মামুন রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত সংগ্রামসহ কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। মোবাইলের সূত্র ধরে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আদিপুজ্জামান সংগ্রামের এমন কাণ্ডে তোলপাড় চলছে কুষ্টিয়া ছাত্রলীগে। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান, ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। সংগ্রামের বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুনেছি। তবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঝুলন্ত স্ত্রীকে নামিয়ে একই রশিতে স্বামীর আত্মহত্যা
হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকই কলেজের পিয়ন
মাগুরায় ১২০ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ
‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার’
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে দিলীপ কুমার বিশ্বাস (৫০) নামের এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি মারা গেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার মো. ফখর উদ্দিন। দিলীপ কুমার ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানাধীন আশুরহাটি গ্রামের শ্রী দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে। কারাগার সূত্রে জানা যায়, চেক প্রতারণা মামলার দিলীপ কুমারের এক বছরের সাজা হয়। চুয়াডাঙ্গায় আরও একটি মামলা থাকায় গত ৯ মার্চ ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গায় জেলা কারাগারে তাকে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন চিকিৎসক। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার মো. ফখর উদ্দিন জানান, চিকিৎসকের মতে দিলীপ কুমার বিশ্বাস স্ট্রোক করে মারা গেছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে।
বিচার কার কাছে দেব, অবন্তিকার মায়ের আহাজারি
‘এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে চলে গেল, এটাই বুঝি আমার প্রাপ্য ছিল। একটা বিধবা নারীর প্রাপ্য ছিল। আমি এখন সন্তানহারা। আমি এর বিচার কার কাছে দেব?’- এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরোজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। তার আহাজারি যেন থামছেই না। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে অবন্তিকার আত্মহত্যার পর সাংবাদিকদের কাছে নিজের কষ্ট প্রকাশ করেন তিনি।  তিনি বলছিলেন, ‘গত রোজায় সরকারি কলেজের অধ্যাপক স্বামীকে হারালাম। এবার মেয়েকে হারালাম। এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে আমার কাছ থেকে চলে গেল। মেয়ে আমার বিচারক হতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা তাকে বাঁচতে দিল না। ও সাহসী মেয়ে ছিল। বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল।’ তাহমিনা শবনম বলেন, ‘হায় রে অবন্তিকা তুই আমারে কত বলছিলি মা একটা জিডি করো মা একটা জিডি করো। আমি বলেছি মা এগুলা করব না। আল্লায় বিচার করবে। আমার আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ছিল। আল্লাহ আমার কাছ থেকে তোরেই নিয়ে গেল! আরে তোরে নিয়ে গেল অবন্তিকা? আমি কত কষ্ট করলাম। আমি এই জন্যই কষ্ট করলাম।’ গতকাল ইফতারের পর মেয়েকে বিষণ্ন দেখেছিলেন মা তাহমিনা শবনম। তখন মন খারাপ কেন জানতে চেয়েছিলেন মা। অবন্তিকা শুধু বলেছিলেন, ‘এমনি।’ কিন্তু মেয়ে যে আত্মহত্যা করবে, এটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তিনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বলেন, ঢাকায় কিছুদিন আগে মেয়েটা কলতা বাজারে ছিল। এখানে ইউনিভার্সিটির ছেলেগুলা ওই বাসা পর্যন্ত গিয়ে জানাইছে যে ওর নামে জিডি আছে। ওরে ওখান থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাসার মেয়েরা তো জানার কথা না। আমার মেয়ে এসে বলতেছে মা ওরা তো আমাকে এইভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। আমি পড়তে পারি না। পরে আমি ওর সঙ্গে গেলাম ঢাকায়। আমি যখন গেলাম মেয়েরা তখন চুপ। আমি বুঝতে দেই নাই মেয়েদেরকে যে ওর (অবন্তিকার) পরীক্ষা চলতেছে। মেয়ের পরীক্ষা যখন শেষ আমি যেদিন চলে আসি মেয়েরা বলতেছে তোমার কি পরীক্ষা শেষ? না কি পরীক্ষা শুরু হবে? তার মানে তাদেরকে ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ধন দিয়ে রাখছে তাকে কীভাবে টর্চার করবে। তিনি বলেন, রাফি, আম্মান, মাহিয়া, লাকি, রিমি তারপরে আঁখি, বন্যা, দ্বীন ইসলাম এ ঘটনার জন্য মূল দায়ী। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এমন করছে। সে তো একটা স্টুডেন্ট ভালো। ক্লাসের টপ লিস্টেড মেয়ে। তার সঙ্গে কেন এরকম করছে? বলে যে ওই আপনার মেয়ে একটা মেসেজ দিয়েছে। ওই মেসেজটা কীসের? মেসেজটা কিন্তু আমার কাছে আছে। এই মেসেজে কোনদিন কোনো জিডি হয় না, কোনো কিছু হয় না। মানে, ও ওর সঙ্গে অ্যাফেয়ার করেছে, এই কথাগুলো। এই কথাগুলো দিয়া তো কখনও জিডি হয় না।  মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, এক বছর আগে থেকে অবন্তিকার এক সহপাঠী নানাভাবে তাকে উৎপীড়ন করতেন। এ নিয়ে তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে নালিশ করেন। কিন্তু সহকারী প্রক্টর ঘটনার বিচার করেননি, উল্টো মেয়েকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই ছেলের পক্ষ নেন তিনি। তখন ওই ছেলে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েন। আপত্তিকর মন্তব্য করতেন, হুমকি দিতেন। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে না পেয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফাইরোজ অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরই ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।   
বা‌গেরহা‌টে ১৬ লাখ টাকার জাল নোটসহ আটক ১
বা‌গেরহা‌টে ১৬ লাখ টাকার জাল নোট, বিপুল প‌রিমাণ সরঞ্জাম ও জাল টাকা তৈরির মেশিনসহ মো. ফয়সাল ইউনুস (৩০) না‌মের এক যুবককে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বি‌কে‌লে বাগেরহাট পৌরসভার যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আলহাজ্ব আব্দুল গফুর প্লাজার ৬ষ্ঠ তলায় অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে ডি‌বি পু‌লিশ তা‌কে আটক ক‌রে। আটক মো. ফয়সাল ইউনুস কচুয়া উপ‌জেলার বা‌রোদারিয়া গ্রা‌মের ম‌হিউদ্দীন শে‌খের ছে‌লে। বা‌গেরহাট ডি‌বি পু‌লি‌শের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) স্বপন কুমার রায় জানান, গোপন সংবা‌দের ভি‌ত্তি‌তে বা‌গেরহাট জেলা গো‌য়েন্দা পু‌লি‌শের এক‌টি দল যদুনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আলহাজ্ব আব্দুল গফুর প্লাজার ৬ তলায় অ‌ভিযান চালা‌য়। এ সময় মহিউদ্দিন শেখের ছেলে ফয়সাল ইউনুসকে (৩৫) জাল নোট তৈরির সামগ্রীসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ফয়সাল ইউনুস ৪ মাস পূর্বে বাসা ভাড়া নি‌য়ে জাল‌ নোট তৈ‌রির কাজ ক‌রে আস‌ছিল। এ চ‌ক্রের অন‌্য সদস‌্যদের আটকের জন‌্য পু‌লিশ কাজ কর‌বে ব‌লে জানান তিনি।
আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে ইউএনওকে হুমকি, আনসার সদস্য কারাগারে
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাসের দেহরক্ষী আনসার সদস্য আকাশ বিশ্বাসকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইউএনওর আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায়। গ্রেপ্তার আকাশ বিশ্বাস খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর গ্রামের মৃত নিহার বিশ্বাসের ছেলে।  গত ২ বছর ধরে তিনি ইউএনওর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। মামলার এজাহার জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত এক ব্যক্তি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে কল করে বলেন, ‘আপনার একটি অশ্লীল ভিডিও আছে, ১০ লাখ টাকা দিলে ভিডিওটি ডিলিট করে দেওয়া হবে।’  টাকা না দিলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এবং ইউএনও’কে খুন-জখম করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। ইউএনওর স্ত্রীর মোবাইল ফোনেও এসব কথা বলে হুমকি দেওয়া হয়।  ইউএনওর স্ত্রী স্বামীর সম্মান ও জীবনের নিরাপত্তায় পর্যায়ক্রমে হুমকিদাতার ব্যাংক হিসাবে পর্যায়ক্রমে ১০ লাখ টাকা দেন। টাকা পাঠানোকালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্য আকাশের কথাবার্তায় সন্দেহ হয় ইউএনওর স্ত্রীর। এরপর আকাশকে আসামি করে ১২ মার্চ লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।  ওই মামলার সূত্র ধরে ইউএনওর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির মামলায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর আকাশকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চাঁদাবাজ চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।
কুমারখালীতে নৌকার সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নৌকায় ভোট করা নিয়ে পূর্ববিরোধে আমিরুল ইসলাম নান্নু (৪৫) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।  বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  নিহত আমিরুল ইসলাম উত্তর চাঁদপুর এলাকার মৃত জলিল শেখের ছেলে। তিনি জলাশয় লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন। হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিপক্ষের কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন নিহতের স্বজন ও উত্তেজিত এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত জাতীয় নির্বাচনে নিহত নান্নু নৌকায় ভোট করেছিলেন। এ নিয়ে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীর লোকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিদেন তলা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে উত্তর চাঁদপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন নান্নু। পথিমধ্যে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। রাত সাড়ে ৯টায় আমিরুলের বাড়ি থেকে ৩শ মিটার দূরে একটি কলাবাগানে তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম। তিনি জানান, পূর্ববিরোধে তাকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাদকাসক্ত ছেলের লাঠির আঘাতে মায়ের মৃত্যু
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাদকাসক্ত ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক মা।  বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার কেশবপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।  নিহত শ্যামলী খাতুন (৪২) ওই গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে রতন মিয়াকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, মাদক সেবনের টাকার জন্য প্রায়ই বাবা-মাকে চাপ প্রয়োগ করতেন রতন। সর্বশেষ বুধবার দুপুরের দিকে মা শ্যামলী খাতুনের কাছে বেশ কিছু টাকা দাবি করেন ছেলে রতন। সেসময় মা টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় রতন ক্ষুব্ধ হয়ে কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে শ্যামলী খাতুন রক্তাক্ত জখম হয়। তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সন্ধ্যার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।   এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ঘাতক রতন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।