• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

আসামি দাবি করে কারাভোগে প্রতারণা

অনলাইন ডেস্ক
  ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ২২:৩৯

হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির বদলে শাস্তি ভোগ করায় রিপন আহমদ ভূট্টো নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতারণা মামলা দায়ের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমদ পাটোয়ারি এ নির্দেশ দেন।

অপরদিকে ভূট্টো, তার বাবা ও আইনজীবীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়েরের সুপারিশ করেছে এ বিষয়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।

কমিটি তিনটি ‍সুপারিশ করে। সুপারিশে রিপন আহমদ ভূট্টো, তার বাবা সুনু মিয়া, আইনজীবী শাহ আলম, শিক্ষানবীশ আইনজীবী শামীম আহমদ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দালাল লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে জেল সুপার প্রতারণা মামলা দায়েরের কথাও উল্লেখ করা হয়।

আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সিলেটের মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামে আলী আকবর সুমকে খুন করা হয়। পরে কোতোয়ালি থানায় নিহতের ছোট ভাই আলী আহসান সুহেল বাদি হয়ে মামলা করেন। শুনানি শেষে ২০১২ সালে মামলার চার্জশিটভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- হাউসা গ্রামের মৃত মছকন্দর আলীর ছেলে দরাছ মিয়া ওরফে গয়াছ ও তার স্ত্রী রুজিনা বেগম এবং একই গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন বকুল। সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামিই তখন পলাতক ছিলেন।

পরে ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর রিপন আহমদ ভূট্টো আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে ইকবাল হোসেন বকুল দাবি করেন। আদালতের নির্দেশে পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তবে আত্মসমর্পণের এক বছর ২ মাস পর বেরিয়ে আসে মূল সত্য। যে বকুল কারাগারে রয়েছেন, তিনি আসল বকুল নন। তার আসল পরিচয় ভুট্টো। আর মূল আসামি ইকবাল হোসেন বকুল বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন।

সাজাভোগের ১৪ মাস পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হান্নানকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারী। গেলো মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ।

এমসি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh