• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এগিয়ে চলছে পায়রা বন্দর নির্মাণকাজ

জুলহাস কবীর

  ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:৫৫

জোর কদমে এগিয়ে চলেছে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা'র নির্মাণকাজ। ২০২৩ সালকে টার্গেট করে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে নেয়া হয়েছে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। বন্দরকে ঘিরে অর্থনৈতিক অঞ্চল, নৌ-ঘাঁটি ও এয়ারপোর্ট নির্মাণের পাশাপাশি পরিকল্পনা করা হচ্ছে আধুনিক নগরায়ণেরও।

আরো একটি স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ। যা ছুঁয়ে যাচ্ছে আশপাশের দেশগুলোকেও। দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর থেকেই ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও চীনের একটি অংশ স্বপ্ন দেখছে একে ঘিরে।

পায়রাকে পূর্ণাঙ্গ গভীর সমুদ্রবন্দরে রূপ দিতে নেয়া হয়েছে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। অপারেশনাল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের কাজ। এরপর থেকে বন্দরে আসছে বাণিজ্যিক জাহাজ। পটুয়াখালীর রাবনাবাদ চ্যানেলজুড়ে চলছে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পালা।

ভারপ্রাপ্ত মো. সাইদুর রহমান, ক্যাপ্টেন মো. সাইদুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের মধ্যে নুন্যতম একটি কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি বাল্ক টার্মিনাল আর একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনালসহ বন্দরে অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা সৃষ্টি করা। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে এরইমধ্যে সরকার ১ হাজার ১শ’ ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন বন্ধুপ্রিতিম দেশগুলোর সঙ্গে জিটুজি অথবা এফবিআইয়ের ভিত্তিতে এ কাজগুলো করার জন্য আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

পায়রা বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমকে ভাগ করা হয়েছে ১৯টি কম্পোনেন্টে। প্রায় ৬ হাজার একর জায়গার ওপর তৈরি হচ্ছে কন্টেইনার, বাল্ক, সাধারণ কার্গো, এলএনজি, পেট্রোলিয়াম ও যাত্রী টার্মিনাল। পরিকল্পনা আছে অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি পোশাক, ওষুধ, সার, সিমেন্ট, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাছ প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, তেল শোধনাগার ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প কারখানা গড়ে তোলার। বিবেচনায় আছে এয়ারপোর্ট, ইকো-ট্যুরিজম, আধুনিক শহর ও সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণের।

নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাহাজান খান বলেন, এই বন্দরে একটি বিমানবন্দর, আধুনিক শহর হবে। এখানে কয়লা ভিত্তিক একটি টার্মিনাল করবো। সুতরাং বাংলাদেশে নয় উপমহাদেশের একটা বৃহত্তর বন্দর হিসেবে এই পায়রা বন্দরকে আমরা উন্নীত করতে পারবো।

সুপরিসর চ্যানেল বন্দরটির জন্য আশীর্বাদ। বর্হিনোঙ্গর থেকে রাবনাবাদ চ্যানেলে ঢোকার পথে পানির সর্বনিম্ন গভীরতা প্রায় ৫ মিটার। চ্যানেলের ভেতরে গভীরতা ১৬ থেকে ২১ মিটার পর্যন্ত। চ্যানেলের ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজিং করা হলে জোয়ারের সময় ১৪ মিটার উঁচু ও ২৫০ মিটার লম্বা জাহাজও আনায়াসে ঢুকতে পারবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রথম অবস্থায় আমরা ১০ মিটার এবং পরবর্তীতে ১৬ মিটার খনন করবো। এর ফলে বড় বড় জাহাজ এ বন্দরে আসতে পারবে। আমরা এরইমধ্যে একটি বেলজিয়াম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছি। তারা আগামী ৮ বছর পর্যন্ত চ্যানেলটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে।

পরিকল্পনা আছে সরাসরি মাদারভ্যাসেল নিয়ে আসারও। সড়কপথে বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে হাতে নেয়া হয়েছে ৪ লেন সড়ক নির্মাণের কাজ। নির্ধারিত সময়ে যা শেষ হলে উপমাহাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর।

ডিএইচ / এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh