• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

পায়রা বন্দরে ভিড়ছে বাণিজ্যিক জাহাজ

জুলহাস কবীর

  ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৫২

‘এমভি ফরচুন বার্ড’। চীন থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজটিতে এসেছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর জন্য আনা পাথর। পদ্মাসেতুর পাথর এসেছে দেশবাসীর কাছে, এটি এখন আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ খবর নয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে বাস্তবে রূপ নিয়েছে আরো এক স্বপ্নের। ‘ফরচুন বার্ড’র পাথর খালাসের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে পায়রা সমুদ্রবন্দর।

পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর অববাহিকা ও বঙ্গোপসাগরের চ্যানেলে বন্দরের কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই পাল্টাতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের চিত্র। গেলো ১৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর থেকে ভিড়তে শুরু করেছে জাহাজ।

ক্ষুদ্র পরিসরে কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন। আন্দারমানিক নদী পাড়ে প্রায় ১৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে পন্টুন, ক্রেন, রাস্তা, নিরাপত্তা ভবন, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনের কাজসহ শেষ হয়েছে নদীর তীররক্ষা বাঁধের কাজ।

পায়রা বন্দর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মো. সাইদুর রহমান বললেন, যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চ্যানেল মার্কিং, কাস্টমস, লাইট স্থাপন সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষের দিকে। নৌ-পথের ড্রেজিং, কিছু জাহাজ নির্মাণ সময়মতো করে ফেলবো।

বন্দরের মূল অবকাঠামো নির্মাণে ৬ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের জন্য আইন আকারে প্রকাশিত হয়েছে ‘পায়রা বন্দর প্রকল্প ভূমি অধিগ্রহণ আইন’। মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনায় ২০১৮ সালের মধ্যে একটি করে কন্টেইনার ও বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ২০২৩ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর গড়ে তোলার কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে।

বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ১৩ আগস্ট এ বন্দরে বর্হিনোঙরে জাহাজ এনে আমরা সেখানে পদ্মাসেতুর পাথর প্রথম খালাস করলাম। পায়রাবন্দরে এরই মধ্যে ৮টি জাহাজ বর্হিনোঙরে এসেছে এবং আমরা সেখানে মালামাল খালাস করেছি।২০২৩ সালের মধ্যে আমরা পায়রাবন্দরকে একটি পূর্নাঙ্গ বন্দরে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ্, তা বাস্তবায়িত করতে পারবো।

সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক ১০ প্রকল্পের অন্যতম প্রকল্পটি কেবল দক্ষিণের জনপদ নয়, বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি- এমন আশা কর্তৃপক্ষের। পায়রাকে গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে গড়ে তোলারও পরিকল্পনা আছে সরকারের। যাতে আগ্রহ দেখিয়েছে চীনসহ কয়েকটি দেশ।

ডিএইচ

আরকে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh