• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

‘আমি ন্যায় বিচার পাইনি’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৪৬

নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সরকারের দায়ের করা মামলায় জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অপর আসামি অপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম এ কে এম ইমদাদুল হক এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিচার বিভাগীয় তদন্তে সেলিম ওসমানের নাম উঠে আসে। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়ায় সেলিম ওসমান এবং অপুর বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল প্রতিবেদন দেয়া হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি দিয়ে অপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

তবে আদালতের এই আদেশের ব্যাপারে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ন্যায়বিচার পাননি দাবী করে জানান, সরকারের কাছে তিনি সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করেছিলেন। তিনি বলেন, যেহেতু মামলাটি আমি করিনি। তাই এই মামলা সম্পর্কে আমার কোনও ধারণাও নেই। আমি কখনো আদালতেও যাইনি। একজন প্রধান শিক্ষককে এভাবে প্রকাশ্যে নির্যাতন ও অপমান করায় সরকার আমার পক্ষ হয়ে মামলা করেছিল। তবে আমি ন্যায়বিচার পাইনি।

তিনি বলেন, ‘সেলিম ওসমান নিজে আমার কানে থাপ্পড় মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তার ওই থাপ্পড়ের কারণে আমি এখন দুই কানে শুনতে পাই না। কানে হিয়ারিং এইড লাগিয়ে আমাকে চলতে হচ্ছে। তাই আমি এমন একটি আদেশ চাই যাতে আমার ওই ক্ষত দূর হয়।’

অন্যদিকে আসামি সেলিম ওসমানের পক্ষে অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান ও মোজাম্মেল হক বলেন, জুডিশিয়াল প্রতিবেদনে কানে থাপ্পড় মারার সত্যতা প্রকাশ পায়নি। শুধু কান ধরে উঠবস করার কথা বলা হয়েছে। আর সেলিম ওসমান তা করেছিলেন জনরোষ থেকে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে বাঁচানোর জন্য।

উল্লেখ্য, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ২০১৬ সালের ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমান। পরে শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।

এ ঘটনায় সেলিম ওসমান জড়িত কি না, সে বিষয়ে পরে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে হাইকোর্ট প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠান। ১৪ মে সেলিম ওসমান এই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh