সুন্দরবনে পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ধেঁয়ে আসায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সর্তকতা হিসেবে সুন্দরবনের সকল পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘূর্ণিঝড় তিতলি সম্ভাব্য আঘাত থেকে রক্ষার জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বন বিভাগের সকল নৌযান নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় তিতলি প্রভাবে মংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলার নদ-নদী উত্তাল হয়ে পড়ায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত শরণখোলা, মোংলা, মোড়েলগজ্ঞ ও রামপালের স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্বিস, মেডিকেলটিম ও রেডক্রিসেন্টসহ জেলার ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. দুরুল হুদা জানান, ৪ নং স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত জারির পর বুধবার দুপুরে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে ঘোষণা করা হয়েছে রেড এলার্ট-২। ঘূর্ণিঝড় সতর্কতার কারণে বন্দরে বিদেশি জাহাজ আগমন ও নিগর্মন বন্ধ রাখা হয়েছে। জাহাজগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে বন্দর জেটিতে অবস্থানরত সকল বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরে বিশেষ সতর্ক বার্তা এলার্ট-২ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র প্রভাবে বুধবার সকাল থেকে বাগেরহাটসহ মোংলা বন্দর আশপাশ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন :
- নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ২১ জেলে আটক
- বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসে যুবদল নেতার পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, আহত ৩
এমসি/ জেএইচ
মন্তব্য করুন